সোমবার, ১৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা

সংঘাত এড়ানোর একমাত্র উপায়

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত রক্ত ঝরাচ্ছে। গাজায় চলছে একের পর এক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। হামাসের খেলনা জাতীয় রকেট হামলার বদলা নিতে ইহুদিবাদীরা নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে গত এক সপ্তাহে দেড় শর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে ৪১ জন শিশুও রয়েছে। আহতের সংখ্যা সহস্রাধিক। ধ্বংস হয়েছে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি। আলজাজিরা, এপিসহ গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়ার অফিস রয়েছে এমন একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করা হয়েছে মাত্র দুই সেকেন্ডের মধ্যে। সংঘাতের সূত্রপাত জেরুজালেমে নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে। জেরুজালেমের তিনটি বাড়ির মালিকানা দাবি করে ৭০ বছর আগে এলাকা ছেড়ে যাওয়া ইহুদি মালিকরা। জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি নগর কর্তৃপক্ষ তা মেনেও নেয়। কিন্তু ওই এলাকায় ইসরায়েলিরা ইহুদি বসতি স্থাপনের চেষ্টা চালালে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ দমনে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ আল আকসায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে হামাস ইসরায়েলের বিভিন্ন জনপদে রকেট ছুড়লে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলায় বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের সর্বশেষ সংঘাতে কারা দায়ী তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। হামাসের তুচ্ছ ধরনের রকেট হামলার বদলা নিতে ইসরায়েল নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনে। দুই পক্ষের সর্বশেষ সংঘাতের দায় কার, তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের কারণেই মধ্যপ্রাচ্য প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এ দখলদারিত্ব ফিলিস্তিনিদের অসহিষ্ণু হতে বাধ্য করছে। বিশ্ব সমাজ ইহুদি দখলদারিত্ব বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফিলিস্তিনি চরমপন্থিরা পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের প্রকৃষ্ট পথ হলো ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার মেনে নেওয়া। মধ্যপ্রাচ্যের দুটি ঐতিহ্যবাহী জাতি একে অপরকে মেনে নিলে সংঘাতের যবনিকাপাত ঘটানো যেমন সম্ভব হবে, তেমন নিশ্চিত হবে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি। ইসরায়েল যেহেতু ফিলিস্তিনে দখলদারি ভূমিকায় রয়েছে সেহেতু সমঝোতা চাইলে তাদেরই উদার হতে হবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা মেনে নিয়ে প্রকৃত শান্তির পথ খুলে দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর