শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় পড়াশোনা

শিক্ষা কার্যক্রম চালুর কথা ভাবতে হবে

করোনার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক করতে পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণিতে ক্লাস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। পাঠ্যসূচির পুনর্বিন্যাস, অনলাইন পড়াশোনা কোনো উদ্যোগই সফল হয়নি। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত কয়েক কোটি শিক্ষার্থী বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর এক বছর দুই মাস অতিবাহিত হলেও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের টিকার আওতায় আনতে না পারার কারণে কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় এও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। টিকার আওতায় আনতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির মাধ্যমে সরকারের কাছে শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠালেও শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম আর এগোয়নি। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেনতেনভাবে অনলাইন ক্লাস চললেও পরীক্ষা না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ছে এ কার্যক্রম। ইউজিসি টিকাস্বল্পতার কথা ভেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানোর পরও এ বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো অগ্রগতি হয়নি। করোনা টিকাদান কার্যক্রমকে বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ আরও পেছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকেন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। ১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকায় বড় ধরনের সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। লগডাউনের মধ্যেও মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা দৃশ্যমান। কলকারখানা, অফিস চালু আছে। করোনা যতই প্রলম্বি^ত হোক শিক্ষা কার্যক্রম আর বন্ধ রাখা উচিত হবে না। এত দিন শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষে পরবর্তী ধাপের পাঠ নেওয়া এমনিতেই কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর