শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতীয় পরিচয়পত্র

সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) একই সঙ্গে ভোটার পরিচয়পত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। আর এর ব্যবহার কেবল ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি আসলে এক অপরিহার্য দলিল, যা ছাড়া মোবাইল ফোনের সিম কার্ড কেনা ও ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে জমি কেনাবেচা পর্যন্ত কোনো কাজই করা এখন আর সম্ভব নয়। আর এ মুহূর্তে দেশজুড়ে যে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি চলছে, সেখানে টিকা গ্রহণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা তার কপি দেখানো বাধ্যতামূলক। জাতীয় পরিচয়পত্রের কারণে সরকারি নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজও আগের তুলনায় সহজ হয়ে এসেছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দেওয়ার একটি প্রস্তাব এসেছে, যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম (এনআইডি) ইসির অধীনে না থাকলে ভোটার রেজিস্ট্রেশন ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট পরিচালনা জটিলতা সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-সংক্রান্ত চিঠি মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদের ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু করেছে, যা সম্পূর্ণ জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ এনআইডি কার্যক্রম নির্ভর। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজের বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে যদি অন্য কোনো দফতর ও নির্বাচন কমিশন একই সঙ্গে ডাটাবেজ গঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে এতে দুই ডাটাবেজে নাগরিকদের তথ্যের গরমিল পরিলক্ষিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। দেশে ১১ কোটি ১৭ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম যেভাবে চলমান রয়েছে তা অব্যাহত রেখে দ্রুত কীভাবে সেবা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর