বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

কমনওয়েলথের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা কাম্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে কমনওয়েলথকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের তাগিদ দিয়েছেন। সোমবার কমনওয়েলথ রাষ্ট্রপ্রধানদের এশীয় অঞ্চলের গোলটেবিল বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ আহ্বান জানান। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে যুবরাজ ফিলিপ আর্থার জর্জ এ গোলটেবিল সভা আহ্বান করেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের জন্য কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জলবায়ুর ক্ষতি প্রশমন এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রশংসিত হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে অ্যাডাপটেশন লিডার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য নিজস্ব সম্পদ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম-সিভিএফের চেয়ারম্যান এবং জিসিএর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের হোস্ট হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, স্থানীয়ভাবে অভিযোজন সমাধান এবং নদী ভাঙনের শিকার লোকদের জন্য বাড়িঘর তৈরিসহ তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। কমনওয়েলথের এশীয় নেতাদের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যের দাবিদার। একসময় দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও আফগানিস্তান বাদে সব দেশ ছিল ব্রিটিশ শাসনাধীনে। দুনিয়াজুড়ে ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশের বিস্তার। কালের বিবর্তনে সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন  থেকে প্রায় সব দেশই এখন স্বাধীন। এর মধ্যে কোনো কোনো দেশ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্যকেও টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দীর্ঘকাল অভিন্ন শাসনাধীনে থাকায় কমনওয়েলথ দেশগুলোয় শিক্ষা-দীক্ষা এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিন্নতা গড়ে উঠেছে। স্বাধীন সার্বভৌম কমনওয়েলথ দেশগুলো পারস্পরিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে একে অন্যের সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে কমনওয়েলথের বেশ কয়েকটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হওয়ায় যৌথভাবে বিপদ মোকাবিলায় একাট্টা হওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর