বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ট্রেন লঞ্চ বাস চলাচল

সবকিছু চালু থাক স্বাস্থ্যবিধি মেনে

করোনাভাইরাসের মহামারী রোধে দীর্ঘ ৪৯ দিন বন্ধ ছিল ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস। গত সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে আবারও তা চালু হয়েছে। মহামারী রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রাচীন পদ্ধতি। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রাথমিক যুগেও এ পদ্ধতি অনুসৃত হয়েছে। ইসলামে মহামারীকালে নাগরিকদের তাদের নিজস্ব এলাকায় অবস্থানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কালের বিবর্তনে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি সত্ত্বেও আজও মহামারী রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে সর্বোত্তম পদ্ধতি ভাবা হয়। তবে আমাদের দেশে লকডাউনের মধ্যে ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল কতটা অনুসৃত হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। কারণ এ বছর ঈদুল ফিতরে রাজধানীসহ বড় বড় নগরী থেকে মানুষ যেভাবে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা প্রথম থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপের কথা বলে আসছি। দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে আমরা উৎপাদনসংশ্লিষ্ট সবকিছু চালু রাখারও পক্ষে। সেদিক থেকে লঞ্চ, বাস, ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে চাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থাৎ সামাজিক দূরত্বের স্বার্থে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলকেও আমরা যৌক্তিক মনে করি। বাস, লঞ্চ মালিক-শ্রমিক এবং যাত্রী সবার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশী ভারতের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। প্রাণহানি শুধু নয়, অর্থনীতির জন্যও ডেকে আনবে বিসংবাদ। করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে দেশের অন্তত অর্ধেক মানুষের আয় কমিয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এ ভয়াল দৈত্যের মোকাবিলায় কোনো ধরনের অবহেলাই প্রত্যাশিত নয়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারতীয় ঘরানার করোনা থাবা বিস্তার করায় সর্বোচ্চ সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। অন্যের নয়, নিজের স্বার্থেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে যত্নবান হতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে ভাবা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর