শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

অনলাইন বাণিজ্য

প্রতারকদের আইনের আওতায় আনুন

অনলাইনে কেনাকাটা বা ই-কমার্স দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বিশেষত যুবসমাজের জন্য স্বকর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে দিয়েছিল, কিন্তু প্রতারক চক্রের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এ খাতটি। অবস্থা এমনই নাজুক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনলাইন উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-ক্যাবও বলছে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রেতারা সঠিক পণ্য পাচ্ছেন না। এ প্রতারণা বন্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। অনলাইনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে গ্রাহক পর্যায়ে সরাসরি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ই-কমার্স ব্যবসা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু চক্র ভুয়া অনলাইন পেজ খুলে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ দুষ্ট চক্রের সদস্যরা অনলাইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্য সরবরাহে প্রি-অর্ডারের নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে দুই দিনের কথা বলে ১২ দিনেও ডেলিভারি দিচ্ছে না। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাব অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা বন্ধে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি ও ই-কমার্স আইন প্রণয়নের পক্ষে। দুনিয়াজুড়ে ই-কমার্সের বিস্তার ঘটছে স্পুটনিক বেগে। বিশেষত করোনাকালে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটা গতি লাভ করেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি চলছে অন্য ধরনের জোচ্চুরি। অনলাইন ব্যবসায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বিশ্বের নামকরা ই-কমার্সভিত্তিক বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে বিনিয়োগের নামে চলছে এমন ধরনের প্রতারণা। ডোমেইন কেনা ও ওয়েবসাইট তৈরির নামে প্রযুক্তিতে দক্ষ একশ্রেণির প্রতারক হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে চক্রটি সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলত। অনলাইন কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যবসার প্রতি মানুষের আস্থা জিইয়ে রাখতে প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে এবং প্রতারণার ফাঁকফোকর বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর