শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পোশাক খাত

শ্রমিক ঠকানোর অপকৌশল নিন্দনীয়

দেশের কর্মসংস্থান ও রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্প করোনার দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দেশের অর্থনীতির জন্য যা একটি সুখবর বলে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে। ৪০ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তৈরি পোশাকশিল্প খাত। যার বেশির ভাগই নারী এবং সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্য। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আগের বছরের চেয়ে আড়াই শতাংশের বেশি হ্রাস পায়। তবে করোনার শুরুতেই এ শিল্পকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসে সরকার। পোশাকশিল্পের জন্য দেওয়া হয় আর্থিক প্রণোদনা। এর ফলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের এ খাতটি বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়। তার পরও মালিকদের কেউ কেউ শ্রমিকদের ঠকানোর নিন্দনীয় অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেননি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে পোশাকশিল্প মালিকদের স্বস্তির তথ্য মিলেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। করোনাকালের সংকট কাটিয়ে পোশাকশিল্প মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তিতে ভুগছেন শ্রমিকরা। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির জরিপে বলা হয়েছে, করোনাকালে ছাঁটাই শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেনি ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ পোশাক কারখানা। ছাঁটাই শ্রমিকের ২১ শতাংশ অভিযোগ করেছেন, তারা পাওনা বুঝে পাননি। তাদের ৩৬ শতাংশ বেতনের একটা অংশ মাত্র পেয়েছেন। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এ খাতের সামনে যে অজুত সম্ভাবনা পড়ে রয়েছে তার একটি ক্ষুদ্র অংশ এ যাবৎ ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। রাশিয়া, ব্রাজিল, স্পেন ও আফ্রিকায় তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ থাকলেও তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে। মানসম্মত দামি পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশ উদ্যোগী হলে এ খাতের আয় বিপুলভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর