বুধবার, ২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের পোশাক

উৎপাদন মানেও এখন দ্বিতীয় স্থানে

পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে আছে অনেক দিন ধরে। প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের সঙ্গে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে। পোশাক উৎপাদনে জুতসই অবস্থানে থাকলেও মানসূচকে বাংলাদেশকে পিছিয়ে পড়া দেশ ভাবত খোদ বাংলাদেশিরাই। কিন্তু সর্বশেষ ইথিক্যাল অডিট সূচকে বলা হয়েছে, পোশাক উৎপাদনের মানসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পেছনে নয়, একেবারে সামনের কাতারে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানকে টপকাতে পারলে বাংলাদেশ হবে প্রথম। বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রথমবারের মতো এ স্বীকৃতি অর্জন রপ্তানি ও দেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে যেমন ভূমিকা রাখবে তেমন ক্রেতাদের কাছেও কদর বাড়াবে। সূচকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম। আর চীনের অবস্থান সপ্তম। সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্সসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কিউআইএমএর সর্বশেষ এ মান নির্ধারণের ঘোষণা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য সুখবর বিবেচিত হচ্ছে। চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে সেবাসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে। ৮৫ দেশে কিউআইএমএর স্থানীয় অফিস রয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের পোশাক খাত কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে বেশ এগিয়েছে এবং ক্রেতাদের কাছে সুনাম কুড়িয়েছে। তবে পণ্যের দরকষাকষিতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল থাকায় তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ইথিক্যাল অডিটে এগিয়ে থাকায় দরকষাকষিতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদনের মানসূচকে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তৃতীয় স্থানধারী ভিয়েতনামের সঙ্গে পার্থক্য নগণ্য। বাংলাদেশের সূচক যেখানে ৭ দশমিক ৭ সেখানে ভিয়েতনামের ৭ দশমিক ৬। ফলে নিজেদের অবস্থান অক্ষুণœ শুধু নয়, প্রথম স্থানে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আরও বেশি যত্নবান হতে হবে। সবারই জানা, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে বাংলাদেশি পোশাকের উৎপাদন মান। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের বিশেষ সুবিধাও হারায় বাংলাদেশ। উৎপাদনের মানসূচকে দ্বিতীয় স্থান লাভ পোশাকশিল্পের অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর