মানুষের মতো মানুষ হিসেবে যাঁরা বিশ্ব ইতিহাসে নন্দিত তাঁরই একজন ভারতের একাদশ প্রেসিডেন্ট এ পি জে আবদুল কালাম। পেশায় যিনি একজন বিজ্ঞানী। পরমাণু ও মহাশূন্য গবেষণায় তাঁর সাফল্য প্রায় আকাশছোঁয়ার মতো। ভারতীয় অ্যাটম বোমার জনক ভাবা হয় তাঁকে। দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন যিনি সেই এ পি জে আবদুল কালামের জন্ম দক্ষিণ ভারতের এক হতদরিদ্র পরিবারে। বাবা ছিলেন মৎস্যজীবী। নৌকা তৈরির কারিগর হিসেবেও কাজ করতেন।
দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণকারী আবদুল কালামকে তাঁর বাবা স্কুলে ভর্তি করেন বুকভরা আশা নিয়ে। কিন্তু মাত্র ১০ বছর বয়সেই পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনযুদ্ধেও জড়িত হয়ে পড়েন কালাম। পড়াশোনা চালানোর খরচ মেটানো ও বাবা-মাকে সংসার চালাতে সাহায্য করার জন্য পত্রিকা হকারির কাজও করেন তিনি। ভোরে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পত্রিকা পৌঁছে দিতেন। এহেন আবদুল কালাম নিজ যোগ্যতাগুণে ভারতের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট- যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন তাকেই মহিমান্বিত করেছেন। গরিব ঘরের সন্তান এ পি জে আবদুল কালাম যখন পারমাণবিক কমিশনের চেয়ারম্যান তখন বাস করতেন দুই কক্ষবিশিষ্ট এক সাধারণ বাসায়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বাস করতে বাধ্য হলেও তাঁর জীবনমান ছিল একেবারে নিরাভরণ।