শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা আগ্রাসন

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় লকডাউন দিন

দেশের সীমান্তবর্তী ১১ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার হু হু করে বাড়ছে। বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি প্রথম থেকে গত ১৫ মাস পর্যন্ত মোটামুটি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকলেও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর আরও সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণার সুপারিশ করেছে। সীমান্তবর্তী এসব জেলায় সংক্রমণের হার স্পুটনিক গতিতে বাড়ছে। দেশে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৬৯৪-এ ঠেকেছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৮৮ জনের দেহে। মোট শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ২৯৩-তে। এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৯১৪ জন করোনা আক্রান্ত। এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন। বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ২৫৯টি। এতে শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। বাগেরহাটের মোংলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বুধবার মোংলায় ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬০ ভাগের বেশি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায়ও মারা গেছেন সাতজন। সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাস রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। যশোর ও খুলনার পরিস্থিতিও অবনতিশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতীয় ধরনের করোনার আগ্রাসন ঠেকাতে সীমান্তবর্তী সব জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন জারি করা দরকার। রাজধানীতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নাগরিকদের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর