শনিবার, ৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ইতিহাসের বড় বাজেট

সরকারি অর্থের অপচয় রোধ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘জীবন ও জীবিকার’ বাজেটে বেশ কিছু ভালো উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করতে এবং ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি আমলে নিয়ে করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে এবার যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। বাজেটের আকার ও অন্য সবকিছু মিলে এটা গতবারের চেয়ে ভালো। গতানুগতিক ধারা থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে পেরেছে এবারের বাজেট। এবারের বাজেটে সুবিধাপ্রাপ্তদের সুবিধা আরও বাড়ানো হয়েছে। কম সুবিধাপ্রাপ্তদের সুবিধা পাওয়ার পথটা এবারও ঠিক করা হয়নি। অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ের সুব্যবস্থা করা হলো না। প্রতিবারের মতো এবারও এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন অঙ্গীকার করা হয়েছে, কিন্তু ফাঁকি বন্ধে কার্যকর কিছু নেই। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবায়নযোগ্য নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সততার বিষয়ে কঠোর হতে হবে। আমরা স্বাস্থ্য খাতে কতটা পিছিয়ে আছি তা করোনার প্রকোপ শুরুর পর পরিষ্কার হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বড় ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে এটা সত্যি, কিন্তু ছোটদের ওই ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়নি। এসব সুবিধা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কম আয়ের মানুষ নিজেদের পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণের অভাবে পায় না। অল্প আয়ের বা কম আয়ের মানুষের জন্য কোনো সুবিধা দেওয়ার আগে দেখতে হবে তাদের কাছে পৌঁছানোর রাস্তাটি ঠিক আছে কি না। গতবারের চেয়ে এবার ব্যাংক থেকে কিছুটা কম ঋণ নেওয়া হবে। ব্যাংক ঋণের এ লক্ষ্য আরও কমানো যেত। বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে জোর দেওয়া দরকার ছিল। তবে সরকারি অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে হবে। প্রশাসন ও বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা ও কর্মস্পৃহা বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর