সোমবার, ৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

গোমরাহি থেকে মুক্তির পথ

আল্লামা মাহ্মূদুল হাসান

বিদ্যমান গোমরাহি এবং ধ্বংস থেকে প্রকৃত মুক্তি ও হেদায়াতের জন্য আমাদেরকে মনগড়া পথ অথবা বিধর্মীদের পথ অবলম্বন করলে চলবে না, বরং আমাদের পূর্বসূরিদের মত ও পথ অবলম্বন করতে হবে। হজরত ইমাম মালিক বলেন- ‘পূর্বসূরিগণ যে পথে পরিশুদ্ধ হয়েছেন, এই উম্মতের পরিশুদ্ধির পথ সেটাই।

আমাদের পূর্বসূরিরা বিশ্বরসুলের সুন্নতের অনুসরণের মাধ্যমেই হেদায়াত ও নাজাত লাভে ধন্য হয়েছেন এবং আমাদের জন্য রেখে গেছেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা। সুতরাং স্বীয় আত্মশুদ্ধি এবং সমাজ থেকে বিদআত- মুনকারাত ও কুসংস্কার দূরীভূতকরণে তাদের পথ অনুসরণ করলে আমরা মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হব। কায়েম হবে শান্তি-শৃঙ্খলা, আমরা ফিরে পাব আমাদের হারানো সম্পদ ও ইজ্জত-সম্মান। গোনাহের পরিণাম। আমাদেরকে যেমন নেক আমলের প্রতি ব্রতী হতে হবে এবং সুন্নত মোতাবেক সমস্ত আমল আঞ্জাম দিতে হবে, তেমনি সমস্ত গোনাহ থেকেও সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে এবং পরিবেশকে গোনাহমুক্ত রাখার অবিরাম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কেননা, গোনাহ ছোট হোক অথবা বড় হোক, অন্তরের গোনাহ হোক অথবা দৈহিক গোনাহ হোক, ব্যক্তিগত হোক অথবা সমাজিক হোক-সমস্ত গোনাহ পরিহার করতে হবে। কারণ গোনাহ হচ্ছে বিষতুল্য। বিষ যেমন দুধকে বিনষ্ট করে দেয়। অহংকার-হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, রিয়া- এগুলো হচ্ছে অন্তরের গোনাহ। মিথ্যা, গিবত, অপরের দোষ চর্চা, গানশোনা, অপদৃষ্টি ইত্যাদি হচ্ছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিশেষ গোনাহ। অন্তরের গোনাহ দেহকে আর দৈহিক গোনাহ অন্তরকে বিনষ্ট করে। সুতরাং জাহেরি-বাতেনি সকল প্রকার গোনাহ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। এর জন্য তেলাওয়াত, আত্মশুদ্ধি, সঠিক জ্ঞান এবং সুন্নতের অনুসরণ অত্যাবশ্যক। এ ব্যাপারে বুজুরগানে দ্বীনের সংশ্রব অবলম্বনে অতি সহজে উদ্দেশ্য সফল হতে পারে।

লেখক : আমির, আল হাইআতুল উলয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর