সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

শ্রমবাজারে সুখবর

কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ জরুরি

বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত দুটি খুঁটির ওপর ভর করে টিকে আছে। এর একটি হলো প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, অন্যটি তৈরি পোশাক খাত। অর্থনীতির এ দুটি খাতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিয়োজিত। মন্দা এবং বিশ্ব অর্থনীতির নানা ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়েছে এই দুটি খাতের ওপর ভর করে। গত দুই যুগে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষমতা দেখিয়েছে এ খাতটি। তবে করোনাকালে গত বছর মহাধস নামে বিদেশে বাংলাদেশের কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে। আশার কথা সে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে জনশক্তি রপ্তানি খাত। ২০২০ সালে যেখানে বিদেশে মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ বাংলাদেশির কাজ হয়েছে, সেখানে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারি-মে সময়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। কভিড-১৯ সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের পুরো সময় লকডাউনে ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ২০১৯ সালে যেখানে ৭ লাখ বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছিল, করোনা মহামারীর পর ২০২০ সালে তা এক ধাক্কায় নেমে আসে ২ লাখে। তবে চলতি বছর আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিদেশে কর্মসংস্থানের এ খাতটি। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে যেসব কৌশল রয়েছে তার মধ্যে নতুন দেশে নতুন কর্মী পাঠানো গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। বাংলাদেশের প্রথাগত শ্রমবাজারের বাইরে বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড, আলবেনিয়া, স্লোভেনিয়া, বসনিয়া-হারজেগোভিনা এবং এশিয়ার উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানো হচ্ছে। সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক খবর এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। অচিরেই এ শ্রমবাজার আবার বাংলাদেশিদের জন্য উন্মোচিত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে করোনাকালের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে জনশক্তি রপ্তানি খাত। এ জন্য নতুন নতুন শ্রমবাজার অন্বেষণে জোর দিতে হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণেও যত্নবান হতে হবে।  পাশাপাশি বিদেশে যারা যাচ্ছেন তাদের সদাচরণের বিষয়ে  উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টিও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর