মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মানব পাচার

সরকারকে কঠোর হতে হবে

বাংলাদেশ মানব পাচারের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত হয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। বলাই বাহুল্য, এ পরিচিতির মধ্যে কোনো সুনাম নেই। আছে হাজার হাজার মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা। বিশেষত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য যারা চোরাই পথে নৌকায় সাগর পাড়ি দেওয়ার কসরত করছেন, তাদের দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। নৌকাডুবিতে এ পর্যন্ত শত শত মানুষের প্রাণহানি হলেও বন্ধ নেই মানব পাচারকারীদের তৎপরতা। ইউরোপে অভিবাসী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে শুধু নৌকাডুবিতে প্রাণহানি নয়, দুর্গম মরুভূমি পার হওয়ার সময়ও প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। এমনকি অভিবাসীপ্রত্যাশীদের জিম্মি হিসেবে আটক করে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও কম নয়। অতিসম্প্রতি ভূমধ্যসাগর থেকে ৪৩৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড; যার ১৬৪ জন বাংলাদেশি। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি উদ্ধার অভিযান চালায় দেশটির কোস্টগার্ডও। এ অভিযানে ৪৩৯ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার হন। আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এসব নাগরিক সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রাবারের তৈরি ডিঙিতে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপ উপকূলের দিকে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন। লিবিয়ার নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফের মুখপাত্রের তথ্যানুযায়ী ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধারের পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লিবিয়ার ত্রিপোলির নৌঘাঁটিতে আনা হয়। পরে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধবিষয়ক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়। চলতি বছর দেশটির কোস্টগার্ড সমুদ্র থেকে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। ইউরোপে যাওয়ার অপচেষ্টার সময় উদ্ধার হওয়াদের এক তৃতীয়াংশের বেশি বাংলাদেশি। এটি লজ্জার ঘটনা।

মানব পাচারের মাধ্যমে কিছু অসৎ লোক লাভবান হলেও প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি; যা বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর