মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জাহাজ নোঙরে রেকর্ড

মোংলা বন্দরের অগ্রযাত্রা স্বস্তিদায়ক

করোনাকালে মোংলা বন্দর তার ৭০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দরে এ বছর ইতিমধ্যে নোঙর করেছে রেকর্ডসংখ্যক জাহাজ। যে কোনো বন্দরে আগের চেয়ে বেশি জাহাজ নোঙর করার মধ্যে খুব বেশি গর্ব করার কারণ নেই। তবে মোংলা বন্দর বলে কথা। দুনিয়ায় এটিই একমাত্র সমুদ্রবন্দর যার সঙ্গে পশ্চাদ্ভূমির রেল যোগাযোগ নেই। ফলে সাত দশক আগে মোংলা বন্দর যাত্রা করলেও এটি দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানিকারকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেনি। তবে দেরিতে হলেও পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রায় এক মাস বাকি থাকতেই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৯১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে এ বন্দরে। এ বন্দরে ৭০ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের সব রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি পণ্য ওঠানামা ও রাজস্ব আদায়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রেলপথ না থাকার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা থেকে সড়কপথে এ বন্দরটি ব্যবহারে পদ্মা নদী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পদ্মা পারাপারে উঁচু কনটেইনারগুলো লরিতে করে ফেরি পারাপারের ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা। বঙ্গোপসাগর থেকে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদের তীরে মোংলা বন্দর অবস্থিত। গত অর্থবছর এ বন্দরে জাহাজ ভেড়ে ৯১২টি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর ৩ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন পণ্য খালাস ও রাজস্ব আসবে ৩৪০ কোটি টাকা, এমনটাই আশা করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে মোংলা বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে উঠবে। চলছে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ তৈরির কাজ। তা সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দর সীমাবদ্ধতার লজ্জা থেকে মুক্তি পাবে। এ বন্দর ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠবেন ব্যবসায়ীরা। মোংলা বন্দরের উন্নয়নে সরকার এ পর্যন্ত যেসব ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে তার সুফল হিসেবে করোনাকালে বন্দরটি জাহাজ নোঙরে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করতে পেরেছে। আশা করা হচ্ছে, এ বন্দর কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য গতি

লাভ করবে। আর তাতে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর