বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

কবর দেওয়ার পদ্ধতি

মোহাম্মদ সোহেল

মৃত ব্যক্তিকে সসম্মানে কবর দেওয়ার পদ্ধতি চালু ছিল প্রাচীন মিসরেও। ফেরাউন বা রাজপরিবারের সদস্যদের কবর দেওয়ার পদ্ধতি ছিল অন্য রকম। মিসরের শাসক পরিবার ফেরাউন বা ফারাওরা নিজেদের দেবতা দাবি করতেন। মিসরীয়দের বিশ্বাস ছিল দেবতারা অবিনশ্বর। মৃত্যুর দ্বারা লোকান্তরিত হলেও তা শুধু এ জগৎ থেকে পরজগতে যাওয়া। পরজগতে ফারাওদের প্রভাব-প্রতিপত্তি নিশ্চিত করতে তাদের লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে চলত হরেক আনুষ্ঠানিকতা। লাশে যাতে পচন না ধরে সেজন্য রাসায়নিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে মমি করা হতো। যে মমি রাখা হতো পিরামিডের ভিতর। পিরামিড তৈরি হতো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। মিসরীয়রা তাদের রাজা বা রাজপরিবারের সদস্যদের লাশ শুধু মমি করে তাদের দেহকে অমরত্ব দান করত তা নয়, পরজীবনে তাদের সেবার জন্য শত শত দাস-দাসীকে হত্যা করে একসঙ্গে কবর দিত। জৈবিক প্রয়োজন মেটাতে দেওয়া হতো সুন্দরী নারী। হতভাগীদের হত্যা করে তাদের লাশ দাফন করা হতো। কবরে দেওয়া হতো খাদ্যদ্রব্য, কাপড়-চোপড়, মণি-মুক্তা, ধনসম্পদ। এমনকি অস্ত্রশস্ত্র। ১৯৯৭ সালে চীনে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন কবরস্থান প্রমাণ করছে মৃত্যু-পরবর্তী জীবন সম্পর্কে তৎকালীন মিসরীয়দের বিশ্বাসের সঙ্গে চীনাদের ধ্যান-ধারণার মিল ছিল। মিসরীয়দের মতো চীনারাও বিশ্বাস করত কবর দেওয়ার পর দেহ ছেড়ে যাওয়া আত্মারা যদি ফিরে আসে তখন জীবিত লোকদের মতো মৃতদেহেরও ভোগবিলাসের চাহিদা থাকবে। চীনের হুনান প্রদেশে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ বছর আগের একটি কবরস্থান আবিষ্কৃত হয়েছে। যেখানে অন্তত ১ হাজার কবর ছিল। এর প্রতিটি কবরে অস্ত্র, গয়নাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া গেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর