বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশি শিল্পের সুরক্ষা

বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিন

বাংলাদেশের মানুষ মূলত কৃষিজীবী। এ দেশের অধিবাসীরা প্রাচীনকাল থেকে কৃষিকাজের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গেও যে জড়িত ছিল ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেয়। বাণিজ্যে বসতে লক্ষী প্রবচন তারই প্রমাণ। একসময় যে দেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি সে দেশ করোনাকালেই ঋণদাতাদেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে নিজেদের যোগ্যতাবলে। এ যোগ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের অবদান অগ্রগণ্য। করোনাকালে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দার অমানিশা গ্রাস করেছে। এ অবস্থায় দেশের বিকাশমান উৎপাদনশীল শিল্প খাতের সুরক্ষায় ৯ দাবি উত্থাপন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে তারা অগ্রিম আয়কর ও আগাম কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং উৎসে আয়কর কমানোর আবেদন জানিয়েছেন। কাটার সেকশন ড্রেজার মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও সকল প্রকার রপ্তানি খাতে ১০ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই। কৃষিভিত্তিক হিমাগার শিল্প খাতে আয়কর কমিয়ে ১০ শতাংশ করার পাশাপাশি তাদের প্রস্তাব ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশন ফি ও কর কমিয়ে ৭% নির্ধারণের। বিনিয়োগের স্বার্থে ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আয়কর কমিয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গতিশীলতা আনতে একটি জনবান্ধব, উৎপাদনশীল ও শুল্কবান্ধব টেকসই রাজস্ব পরিকাঠামো নিশ্চিত করতে তারা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতি গভীর সংকটে। লাখ লাখ মানুষ বেকার মহামারীর বিষ নিঃশ্বাসে। কর্মসংস্থানের খাতগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনতে সরকার ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। তার সুফল অনুভূত হয়েছে অর্থনীতিতে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে করের বোঝা ও জটিলতা কমালে অর্থনীতির ক্ষত উপশমে অবদান রাখবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হয়। আমাদের বিশ্বাস, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রস্তাবগুলো সুবিবেচনা করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর