শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

গৃহহীনদের গৃহ

প্রশংসনীয় ও মানবিক উদ্যোগ

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরুর কাজ হবে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া। মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্ন ও বস্ত্রের পরই আছে বাসস্থান। প্রায় পাঁচ দশকে আমাদের দেশে দারিদ্র্য কমার সঙ্গে সঙ্গে অন্ন ও বস্ত্রের অভাব দূর হয়েছে; স্বাধীন বাংলাদেশে এখন আর কোনো অনাহারী মানুষ নেই, বস্ত্রহীনও থাকতে হয় না কোনো মানুষকে। কিন্তু নিরাপদ আশ্রয় নেই এমন গৃহহীন মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, ‘মুজিব শতবর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় পরিবারকে দেওয়া হবে নতুন গৃহ। চলতি বছর ডিসেম্ব^র মাসে আরও ১ লাখ পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ দেওয়া হবে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর উদ্যোগে মোট ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে দেশে দুই ধরনের মানুষকে ঘর করে দিচ্ছে সরকার। প্রথমত, যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন। আরেক ধরনের মানুষ আছেন, যাদের ১ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে, কিন্তু গৃহ নেই কিংবা থাকলেও একেবারে জরাজীর্ণ। গত বছরের জুন পর্যন্ত এই দুই ধরনের মানুষের তালিকাও করা হয়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষে সরকার যত ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, সেগুলোর মধ্যে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের জন্য গৃহদান কর্মসূচি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও মানবিক বলে আমরা মনে করি।  বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া; তাই সরকারের এ মানবিক উদ্যোগের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য  একান্তভাবে কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর