শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ড্রাইভিং লাইসেন্স

সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন

আবেদন ও পরীক্ষায় পাস করেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না ১৫ লাখ মানুষ। তাই চরম ভোগান্তিতে দেশে ও বিদেশে ড্রাইভিং চাকরিপ্রত্যাশীরা। মধ্যপ্রাচ্যে নিশ্চিত চাকরি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড না পাওয়ায়। মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কারণেই এ ভয়াবহ ভোগান্তি। চুক্তি অনুযায়ী তারা বিআরটিএকে স্মার্টকার্ড লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিআরটিএ। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ চালক গাড়ি চালাচ্ছেন বিআরটিএর ‘একনলেজমেন্ট স্লিপ’ দিয়ে। এর কারণে দুই বছর ধরে বাংলাদেশ দক্ষ চালক রপ্তানিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ কোম্পানিটির চুক্তি অনুসারে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রিন্ট করা স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড সরবরাহের কথা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই সময় বাড়িয়ে সাড়ে চার মাস করা হয়। সে সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করা হয়নি। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ সূত্র বলছে, চালকের লাইসেন্স দেওয়ার এই সংকটের পেছনে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার প্রতিযোগিতা এবং এর ফলে দরপত্র বাতিল করার ঘটনা দায়ী। এই দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টানাটানিতে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দফতরও। এর ফলে ঠিকাদার নিয়োগে সময়ক্ষেপণ হয়। বর্তমানে চালকের লাইসেন্স প্রিন্টের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি। ২২ জুন তাদের সঙ্গে বিআরটিএর চুক্তি শেষ হচ্ছে। তারা বলছে, চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে প্রায় সব কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স জটিলতা বিআরটিএর প্রশাসনিক ব্যর্থতা। তাই বিপুল মানুষের হয়রানি, ক্ষতির দায় তাদের নিতে হবে। এর বাইরে সরকারি কেনাকাটা-ঠিকাদার নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ও আছে। ফলে এতে যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতির আশঙ্কা থেকে যায়।  পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার কারণে এভাবে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে কি না,  তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর