রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রতিদিনই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের অসহনীয় ভোগান্তি আর এই ১৩ কিলোমিটার সড়কে সীমাবদ্ধ নেই। মাঝেমধ্যে যানজট এসে ঠেকছে রাজধানীর মহাখালী পর্যন্ত। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে মহাখালীর আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও। এ কারণে কখনো কখনো রাজধানীর যানজট ভয়াবহ হচ্ছে। মূলত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের কারণে মহাসড়কের এই অংশে যানজটের ভোগান্তির বিষয়টি প্রকল্প কর্তৃপক্ষও স্বীকার করে। কিন্তু এই ভোগান্তি নিরসনে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগের সীমাবদ্ধতার কথাও তারা বলছে। বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। তাছাড়া রাস্তায় পানি জমা, অজস্র গর্ত। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় যানবাহন উল্টে যাওয়া কিংবা বিকল হওয়ায় যানজট দীর্ঘ হয়। সড়কের দুই পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও সেগুলো দিয়ে সামান্য বৃষ্টি হলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে মহাসড়কে জমে যায়। এতে ওইসব স্থানসহ অন্যান্য এলাকা হয়ে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন আটকা পড়ে। কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। টঙ্গী থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও স্থানীয় সড়কসহ মোট ৩৫টি সড়ক যুক্ত হয়েছে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতি মিনিটে অন্তত ১০০ গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করে এবং ঢাকা থেকে বের হয়। সড়কের কোথাও ১০ মিনিটের জন্য একমুখী গাড়ি আটকে গেলে অন্তত ১ হাজার গাড়ি আটকে যায়। এ মুহুর্তে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে সহজে সমাধান করা যাবে এমন উপায় নেই। তবে এভাবে চললে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।  বিআরটি সড়কের যতটুকু অংশের কাজ শেষ করেছে, ততটুকু উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সড়ক মেরামতের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর