সোমবার, ২১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

আইসিইউ সংকট

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কড়া হতে হবে

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় থাবা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৭ জেলায় আইসিইউ না থাকায় করোনাক্রান্তদের চিকিৎসায় গুরুতর সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৭টিতেই করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউ নেই। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫টি, চট্টগ্রামের ৮টি, রংপুরের ৬টি, সিলেটের ২টি, বরিশালের ৪টি, খুলনার ৪টি, রাজশাহীর ৬টি ও ময়মনসিংহের ২টি জেলা রয়েছে যেগুলোতে আইসিইউ নেই। সারা দেশে মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২১৮টি ঢাকা মহানগরে এবং ৫৯টি চট্টগ্রাম মহানগরে। বাকি ১ হাজার ১৪৩টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৫টি জেলায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম বাদে বিভিন্ন জেলায় ‘হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা’ সংবলিত আইসিইউ সমতুল্য শয্যা আছে ১ হাজার ৬০৩টি। ১১টি জেলায় তেমন শয্যাও নেই। করোনা রোগীর চাপ সামলাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেসামাল হয়ে পড়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডগুলো একের পর এক করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হাসপাতালের এক-চতুর্থাংশ করোনা ইউনিটে রূপ নিয়েছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় নগরী খুলনা এবং সংলগ্ন এলাকাগুলোতে করোনার থাবা ভয়াবহভাবে বাড়ছে। গত শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে খুলনা বিভাগেই মারা গেছে ২৪ জন অর্থাৎ সারা দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা বিস্তৃত হওয়ায় আক্রান্তদের কারও অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউর অভাবে তার চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থার রাতারাতি সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। ইচ্ছা হলেই সরকারের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৭ জেলায় আইসিইউর সুযোগ সৃষ্টিও সম্ভব নয়। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে যাতে মানা হয় সে ব্যাপারে সক্ষমতা দেখাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সক্রিয় হওয়া প্রশাসনের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর