বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

চালের দাম বাড়ছে

মজুদদারদের সামাল দিন

রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন সত্ত্বেও দেশে চালের দাম বাড়ছে। করোনাকালে এমনিতেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। চালের দাম বৃদ্ধি তাদের জীবন-জীবিকায় সংকট সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সরকার নড়েচড়ে বসেছে। সোমবার খাদ্যমন্ত্রী সারা দেশের খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন চালের দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে। রাজধানীর পাইকারি বাজারে এ মাসের শুরুর দিকেও বিআর-২৮ জাতের মোটা চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪২ থেকে ৪৪ টাকা। এখন এর কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। চিকন জাতের নাজিরশাইল চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫৮ টাকা। সোমবার ছিল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। বর্ষা মৌসুমে ধান শুকানোর সুযোগ কম থাকায় অনেক মিল বন্ধ থাকে। এ কারণে প্রতি বছর এ সময় চালের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এবার করোনার প্রকোপ বাড়ায় রাজশাহীসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় লকডাউন কঠোর হওয়ায় অনেক মিল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কেউ কেউ বেশি দাম পাওয়ার আশায় ধান কিনে মজুদ করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদিত হওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই। বর্ষা মৌসুমের অজুহাত দাঁড় করানো হলেও তার আগে থেকেই মূল্য বৃদ্ধির তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম নিম্নমুখী। সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪১ টাকা। এ দাম এক মাস আগের চেয়ে ৪ শতাংশ কম। চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে মজুদদারদের কারসাজি জড়িত। বাইরের কেউ নয় মিল মালিকরাই এ কারসাজি করছেন। দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় মিল মালিকদের যে কালো হাত সক্রিয় তা সামাল দিতে সরকারকে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে। মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও খুবই প্রাসঙ্গিক। চালের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকের কোনো কল্যাণ নেই। তারা তাদের ধান মিল মালিকদের কাছে বিক্রির পরই শুরু হয় মূল্য বৃদ্ধির কারসাজি; যা বন্ধে কড়া হওয়ায় বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর