শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা বিধিনিষেধ

স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা বাড়াতে হবে

গত বছর যখন করোনার প্রথম ঢেউ আসে তখন শহরাঞ্চলেই এর প্রকোপ বেশি ছিল। গ্রামাঞ্চলের মানুষ স্বস্তিতে ছিল। তবে দ্বিতীয় ঢেউ এসে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে তান্ডব চালাচ্ছে। বিশেষ করে গত এপ্রিল-মেতে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে বিশেষজ্ঞরা এর ভারতীয় ধরন সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তাঁরা সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করা এবং কড়াকড়িভাবে আইসোলেশন মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছিলেন। অনেকেই তা মানেননি। এখন প্রায় সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট-রেস্তোরাঁ সবকিছুই চলছে পুরোদমে। গণপরিবহনেও ঠাসাঠাসি ভিড়। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় নতুন সব কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক এক উপদেষ্টা বলেছেন, অপরিকল্পিত লকডাউন বা বিধিনিষেধের কোনো যুক্তি নেই। লকডাউন কার্যকরে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। করোনা যেহেতু জনস্বাস্থ্যের সমস্যা, এর সমাধানও জনগণকে নিয়েই করতে হবে। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে উঠলে সংক্রমণ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। মানুষ যদি মাস্ক না ব্যবহার করে, সভা-সমাবেশ করে, গায়ে গায়ে লাগিয়ে চলাচল করে তাহলে করোনার সংক্রমণ বাড়বেই। কাজেই সারা দেশে এখন কমবেশি বিধিনিষেধ থাকতে হবে। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শপিং মলসহ সব বিপণিবিতানেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোও এখন খোলার সময় আসেনি। করোনা মহামারীতে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে তখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের খবরটি বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করে বটে। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। কিন্তু সজাগ না হলে যে কোনো সময় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন। সুতরাং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। গণটিকাদান কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর