শিরোনাম
রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

পানি নিরাপত্তা

অর্থায়ন বাড়ানোর বিকল্প নেই

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে। গড় আয়ু বেড়েছে, পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে; নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুহার কমেছে। এসব ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বলা যাবে না যে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে এ খাতের অগ্রগতি সামঞ্জস্যপূর্ণ। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফল সমাজের সব অংশের কাছে পৌঁছতে পারছে না। নিম্ন আয়ের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য, পুষ্টি ও সার্বিক স্বাস্থ্যগত অবস্থার উন্নয়নে এখনো অনেক কিছু করণীয় আছে। যেমন বিশুদ্ধ বা নিরাপদ পানির প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, কার্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাসস্থান-গৃহস্থালি ও কর্মস্থলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং ব্যক্তি, পরিবার ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সংস্কৃতি গড়ে তোলা। নিরাপদ পানির ঘাটতি একটি বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কভিড-১৯-পরবর্তী টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক বিশ্বব্যবস্থার জন্য পানি সম্পর্কিত বিপর্যয় নিরসনে শক্তিশালী অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পরিষ্কার সুপেয় পানির ক্রমবর্ধমান ঘাটতি, কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদির মতো রোগের প্রাদুর্ভাব আমাদের শান্তি ও বিকাশের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেয়। পানিসংক্রান্ত ব্যাধি নিরসনে আমাদের আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সৃষ্টি করার একটি সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। তিনি শুক্রবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতিসংঘ পানি এবং বিপর্যয় সম্পর্কিত বিশেষ থিম্যাটিক অধিবেশনে আগে ধারণ করা ভাষণে উল্লিখিত মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেচনার জন্য তিনি পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাঁর প্রস্তাবসমূহে ছিল বিশ্বকে নিরাপদ পানির জন্য সমন্বিত, ফলদায়ক, মনোযোগী এবং অভিযোজিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা এবং বিশেষ করে ভালো অনুশীলন, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। দেশে লবণাক্ততা অনুপ্রবেশের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ পানীয় জলের ঘাটতি একটি উদীয়মান সমস্যা।

এ ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর