সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জীবন-জীবিকার সংকট

অর্থনীতি যেন স্থবির হয়ে না পড়ে

আজ থেকে সীমিত পরিসরে এবং বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন জারি থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে যে লকডাউন হবে তাতে হেলাফেলার সুযোগ থাকবে না এমনটিই আভাস দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। করোনাভাইরাসের ভয়াল দৈত্যকে ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে কোনো অবহেলা হোক এটি সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন কোনো মানুষ কামনা করতে পারে না। তবে নতুন মাত্রার লকডাউন মানুষের জীবন-জীবিকায় যে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে তা কোনোভাবে উপেক্ষা করাও উচিত হবে না। সর্বাত্মক লকডাউনকে সামনে রেখে রাস্তার ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান সবই পড়েছে অজানা আশঙ্কায়। আসছে ঈদের আগে লকডাউনে সবকিছু অচল থাকলে গার্মেন্ট কর্মীর বেতন-বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে কিনা ভাবনায় পড়েছেন মালিকরা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুরু হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবী পর্যায়েও। ঈদের আগে নতুন করে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দোকানের কর্মচারী থেকে করপোরেট চাকরিজীবীদের মধ্যে। ১৬ মাসের দীর্ঘ মহামারী মোকাবিলা করে যখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন ঠিক তখন আবার দুর্ভাবনায় আক্রান্ত হচ্ছে আইনজীবীসহ সব পেশাজীবী। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ব্যাংকের পাশাপাশি যেসব খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় সেসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা উচিত। ভূমি রেজিস্ট্রেশন, কর আদায়, ওয়াসা, ডেসা, বিদ্যুৎ, পানির বিল সংগ্রহসহ রাজস্ব আদায়ের খাতগুলো খোলা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ব্যাংকগুলোও খোলা রাখার কথা বলেছেন। বোদ্ধাজনদের অভিমত, লকডাউনের কারণে রাজস্ব আদায় করতে না পারলে সরকারের সব প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। এমনিতে লকডাউনের কারণে দেশের কয়েক কোটি মানুষের আয় কমেছে। পরিপূর্ণ বেকারে পরিণত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। দেশের অর্থনীতির জন্যও সমূহচ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় কঠোর লকডাউনকালেও যাতে উৎপাদন ব্যবস্থায় ধস না নামে, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য হুমকির মুখে না পড়ে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মানুষের জীবন-জীবিকাকে কোনোভাবেই স্থবির করা উচিত হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর