মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মগবাজারে বিস্ফোরণ

দুর্ঘটনার দায় নির্ধারণ করা হোক

মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিন তলা একটি ভবন বিধ্বস্ত এবং তিনটি বাসে আগুন লেগে অন্তত সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিধ্বস্ত ভবনের ফাস্টফুডের দোকান শর্মা হাউসে বিপর্যয়ের সূত্রপাত। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভবনটি বিধ্বস্তসহ মগবাজারের আড়ং এবং ধারে-কাছের সব ভবনের কাচ ভেঙে যায়। সামনের ব্যস্ত সড়কের তিনটি বাস এবং কয়েকটি প্রাইভেট কারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তেই আগুনের ঝলকানি আর মানুষের আর্তনাদে সৃষ্টি হয় ভয়ংকর পরিস্থিতি। ভবনের সামনের সড়কে কাতরাতে থাকে অসংখ্য মানুষ। পড়ে থাকে নিথর দেহ। যাদের প্রত্যেকের শরীর ছিল আগুনে পোড়া। বিধ্বস্ত মগবাজার প্লাজার ভাঙা দেয়ালের পাশে আটকে পড়া মানুষ ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে তারা জেনেছেন শর্মা হাউসে খুব সম্ভবত গ্যাস জমে ছিল এবং তা বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের সাতটি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বিধ্বস্ত ভবনের বাইরে ও ভিতর থেকে একে একে মৃতদেহ বের করে নিয়ে আসেন উদ্ধারকর্মীরা। গুরুতর আহত কেউ কেউ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা নেই এমনটিই নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যথাযথ তদন্তের পর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন হবে। রাজধানীর যেখানে সেখানে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুড তৈরির কারখানা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না নিয়ে যেখানে সেখানে হোটেল চালুর যৌক্তিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।এ বিস্ফোরণ জনমনে সৃষ্টি করেছে নানা আশঙ্কা; যা নিরসনে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের সব চেষ্টা করা হবে। এর দায় নির্ধারণ করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর