বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতীয় পাখি দোয়েল

মোহাম্মদ সোহেল

জাতীয় পাখি দোয়েল

দোয়েল বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। সাদা-কালোয় সজ্জিত বুলবুল আকৃতির খাটো লেজবিশিষ্ট এ পাখি। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গায় দোয়েল দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষ দোয়েলের উপরিভাগ চকচকে নীলাভ-কালো। স্ত্রী দোয়েলের দেহের কালো অংশগুলো বাদামি ও ময়লা বালুর মতো দেখায়। গাছের প্রাকৃতিক খোঁড়লে কিংবা ঝোপঝাড়ে এরা বাসা বাঁধে। সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় ঝোপঝাড়যুক্ত বন, বাগান, গ্রাম তথা লোকালয়ে এদের দেখতে পাওয়া যায়। মিষ্টি মোলায়েম শিস দেয়। লেজের ডগা নাচায়। স্থিরভাবে বসা অবস্থায় দোয়েলের লেজ মোরগের লেজের মতো দেখায়। প্রজনন ঋতুতে পুরুষ দোয়েল খুব ভোরে এবং পড়ন্ত দুপুরে সুরেলা গলায় অত্যন্ত জোরে গান গায়। অন্য পাখির ডাকও এরা নকল করতে পারে।

দোয়েল প্রধানত পোকা-মাকড়, কীটপতঙ্গ খায়। দোয়েল খুব নিরুপদ্রপ পাখি। কখনই এরা মানুষের ক্ষতি করে না। সে শুধু পোকা খায়। তার চেয়ে বড় বিষয় তার চমৎকার গানের গলা। ভোরবেলা তার মিষ্টি-মধুর গান চারপাশ মুগ্ধ করে তোলে।  দোয়েল বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। দোয়েল আমাদের দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। শহর থেকে শুরু করে পাহাড়-বন কিংবা গ্রামের নির্জন পুকুরের পাড়েও তার দেখা মেলে। আমাদের দেশের খুব কম পাখির অবস্থান এমন। যে পাখি শহরে থাকে সে আর বনে থাকতে পারে না বাসস্থান, বিচরণভূমি ও আহারগত কারণে। কিন্তু সর্বত্রই রয়েছে দোয়েল। এ পাখি গহিন বনেও পাওয়া যায়। দোয়েল ছাড়া আর কোনো পাখিকে দেশের আনাচে কানাচে এভাবে দেখা যায় না। সুন্দরবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ছোট-বড় বনে তারা বিচরণ করছে। আবার ঢাকার মতো প্রচন্ড কোলাহলপূর্ণ ব্যস্ত শহরেও দোয়েল দিব্বি টিকে আছে। চারদিকে দোলানকোঠো, কোনো গাছপালা নেই। এর পরও এসব স্থানে দেখা মেলে দোয়েলের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর