বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মানব পাচার

গ্রন্থিমোচনের উদ্যোগ নিন

কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মানব পাচার। দেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সীমিত হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপমুখী হওয়ার প্রবণতা বরং মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে। বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া এবং সেখান থেকে দুস্তর মরুপথ পাড়ি দিয়ে ভূমধ্যসাগর তীর থেকে নৌকা-জাতীয় জলযানে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে পাড়ি জমানো নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন শত শত যুবক। হতভাগ্য যুবকদের একাংশকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। রবিবার ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় আবারও বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে দুজনের লাশও। উদ্ধারকৃতের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। তারা নৌকায় অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন। পথে তাদের নৌকা ভেঙে যায় এবং ডুবে যেতে থাকে। সংকেত পেয়ে তিউনিসিয়া নৌবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এর আগে ২৫ জুন ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে ২৬৪ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। ২৬৪ বাংলাদেশি ও তিন মিসরীয়- মোট ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে মাঝসমুদ্রে নৌকাটি বিকল হয়ে গেলে বিপদে পড়েন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যেসব দেশ দ্রুত অগ্রগতি লাভ করছে তাদেরই দলে। কিন্তু এ দেশ থেকে মানব পাচার শ্রীবৃদ্ধির সুনাম প্রকারান্তরে কলুষিত করছে। ভুল বার্তা যাচ্ছে বিশ্বসমাজের কাছে। দেশের সুনামের স্বার্থে মানব পাচার সম্পর্কে সরকারকে কড়া হতে হবে। এর পাশাপাশি কেন মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ পথে অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে চাচ্ছে সে কারণও উদ্ঘাটন করতে হবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে সংকট চলছে তার গ্রন্থিমোচনের উদ্যোগ নিতে হবে জরুরিভাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর