শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন

আজকের যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। এ যুগে সে জাতিই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় যারা এ প্রযুক্তিতে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে। বাংলাদেশের আজকের অগ্রগতির পেছনেও পথ রচনা করেছে তথ্যপ্রযুক্তি। তবে মুদ্রার অন্য পিঠে এ প্রযুক্তির অপব্যবহারও জাতির জন্য ইতিমধ্যে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুজব, অপপ্রচার, যৌনতা ও ধর্মীয় হানাহানির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় ইতিমধ্যে নানা অঘটনের উদ্ভব ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক সাহিংসতা, আত্মহত্যা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার। আশার কথা গণদাবির মুখে শেষ পর্যন্ত কঠোর নজরদারিতে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ফেসবুক-ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সংশ্লিষ্ট পোস্ট মুছে ফেলাসহ অপরাধীকে আনা হচ্ছে আইনের আওতায়। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্য, নারী-শিশু হয়রানিসংক্রান্ত ইস্যুতে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তাদের সাইবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি চট্টগ্রামে সাইবার ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। কোরিয়া সরকারের সহায়তায় এ ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। অন্যদিকে গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করে তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার কথাও ভাবছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে দেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের জন্য দফায় দফায় অনুরোধ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ যেমন সহজতর হবে তেমন একই সঙ্গে রাজস্ব আদায়ও নিশ্চিত হবে। ইতিমধ্যে অপতৎপরতায় জড়িত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস শুধু গুজব ও অপপ্রচার বন্ধ নয়, যৌন হয়রানি এবং ধর্মীয় অপপ্রচার বন্ধেও আইনশৃঙ্খলা-সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় এ বিষয়ে কঠোর হওয়া জরুরি। তথ্যপ্রযুক্তি যাতে কোনোভাবে মতলববাজ মানুষের হাতিয়ার না হয় সে বিষয়ে সর্বাধিক সতর্কতার বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর