শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশে বসে বিদেশি আয়

ফ্রিল্যান্সিংয়ে অর্থনীতি সুদৃঢ় হবে

মানুষ কেন মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠে? কারণ এ পেশা স্বাধীন, নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা যায়, উপর থেকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ নেই বলেই মানুষ ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিচ্ছে। দেশে বসে প্রায় ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা বিদেশের মার্কেটে কাজ করে বছরে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি আয় করছে। জানা গেছে, রপ্তানি বিকাশে ২০১৮ সালে সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যারের আওতাভুক্ত পণ্য ও সেবা রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হয়। ফ্রিল্যান্সারদের এ আয়কে সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত বিবেচনা করে নগদ সহায়তার আওতায় আনা হলে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসবে। আইসিটি-সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশি প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। করোনা মহামারীতেও রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে দেশে, যার ফলে রিজার্ভের অর্থ বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের পাশাপাশি পাশের একটি দেশকে ঋণ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। একইভাবে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ে প্রণোদনা সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়তা করবে। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, স্মার্টফোন অ্যাপ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ড্রপ শিপিং, ইউআই/ইউএক্স (ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন)-এর অনেক চাহিদা রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি দেশে ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মসংস্থান তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে ফ্রিল্যান্সিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তাদের একটি প্ল্যাটফরমে এনে তাদের পেশার স্বীকৃতি দিতে আইডি কার্ড প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। ফ্রিল্যান্সারদের সুসংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিলে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর