মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

টমেটো

টমেটো

ফলের রাজা যদি হয় আম তবে সবজির রাজা অবশ্যই বলা উচিত টমেটোকে। টমেটো যেমন হার্টের সমস্যা দূরে রাখতে পারে তেমনই ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা রুখতেও অনস্বীকার্য। টমেটোয় থাকা লাইকোপেন প্রোস্টেট, কলোরেকটাল বা পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমিয়ে দেয়। প্রাকৃতিক এ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। কাঁচা টমেটো থেকেও বেশি উপকারী রান্না টমেটো। তাই যত পারুন টমেটোর সুপ খান, রান্নায়ও ব্যবহার করুন টমেটো। টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘বি’ ও পটাশিয়াম রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিনের ডায়েটে টমেটো থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও হার্টের অন্য সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কিডনি ভালো রাখতে টমেটো খেতে পারেন। টমেটোর মধ্যে থাকা ক্রোমিয়াম ও অন্যান্য মিনারেল রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। টমেটোয় পর্যাপ্ত  ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘কে’ থাকে। হাড়ের টিস্যু ঠিক রাখতে ও ছোটখাটো সমস্যা দূর করতে টমেটো অপরিহার্য।

চোখের সমস্যা : চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে টমেটোর ভূমিকা অপরিসীম। শিশুদের ডায়েটে তাই টমেটো রাখুন। ধূমপানের ফলে শরীরে যে ক্ষতি হয় তার প্রভাব কমাতে পারে টমেটোর মধ্যে থাকা কোমেরিক অ্যাসিড ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। টমেটোয় আছে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’। এ ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা রক্তে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে ভাসমান এসব রাসায়নিক শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। টমেটো যত লাল হবে তত বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বেশি থাকবে। তবে রান্নার ফলে নষ্ট হয়ে যায় ভিটামিন ‘সি’, তাই যত পারেন কাঁচা টমেটো খান। টমেটোয় প্রচুর লাইকোপেন থাকায় অনেক ফেসিয়ালের মূল উপাদান টমেটো। টমেটো ত্বকের কালো ছোপ দূর করে, উজ্জ্বলতাও বাড়ায়। বাড়িতে টমেটো ব্যবহার করতে চাইলে ১০-১২টি টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। ওই খোসা দিয়ে অন্তত ১০ মিনিট পুরো মুখ ঢেকে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখাবে।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর