মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সামাজিক প্রচারমাধ্যম

যথেচ্ছতায় লাগাম টানুন

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে যারা গুজব, অপপ্রচার এবং যৌনতার সুড়সুড়ি সৃষ্টির ঘৃণিত কর্মকান্ডে ব্যবহার করে আসছে তাদের লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এর ফলে মতলববাজদের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের অপকৌশল রোধ করা যাবে। সামাজিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সৃষ্টির হুমকি থেকে রেহাই পাবে সাধারণ মানুষ। সামাজিক প্রচারমাধ্যমে যাচ্ছেতাই বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের অফিস খোলে এবং ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে বাধ্য হয় তার নিশ্চয়তা বিধান করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে সাম্প্রতিক সময়ে একটি গোষ্ঠী দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে। অপকর্মের বেশির ভাগ করা হচ্ছে বিদেশে বসে। অন্যদিকে আরেকটি গোষ্ঠী বাংলাদেশে তা সম্প্রচারে বা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করছে। আইনের সীমাবদ্ধতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে করা অনুরোধও রক্ষা করছে না ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম। এ কারণে বিভিন্ন দেশ যেভাবে কঠোরতার মধ্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমের অনাচার রোধে নজর দিচ্ছে বাংলাদেশেও তা অনুসরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে ভারত, রাশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে সরকার, ব্যক্তি ও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা বন্ধে কঠোর আইনের পাশাপাশি ইউটিউব, ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর অফিস ঢাকায় স্থাপনের ওপর জোর দিচ্ছে। কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটর করতে না পারলে দেশ ও সমাজে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সরকারের এ-সংক্রান্ত উদ্যোগ সফল হলে বিদেশে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা অপপ্রচার চালিয়ে তাদের জিঘাংসা পূরণের সুযোগ পাবে না। ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দেশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারাও থাকবে অব্যাহত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর