বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রাশিয়ার টিকা

প্রতিষেধক বণ্টনে বৈষম্য কাম্য নয়

গত বছর মার্চে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর মানুষ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। করোনা এমনি এক ভাইরাস যা দেশ-কাল-পাত্র কিছুই মানেনি, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে যেমন এটি বিপর্যস্ত করেছে তেমনি উন্নয়নশীল বিশ্বও এর ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি; এমনকি ধনী-গরিব নির্বিশেষ সবাই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। টিকা আবিষ্কার হলেও বিশ্বব্যাপী তার সহজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়নি। এ পর্যন্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৪০ লাখ। বাংলাদেশে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে করোনা টিকাকে বৈশ্বিক সম্পদ বিবেচনা করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা স্পুটনিক-ভি কিনতে চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। ফলে রাশিয়া থেকে করোনা ভ্যাকসিন পেতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নতুন চালান না আসায় চীন-রাশিয়ার টিকা থেকে টিকা কেনার চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। এমনকি রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এখানকার অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। চীন এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সে ১ কোটি ডোজের প্রথম চালান চীন হস্তান্তর করতে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশ প্রথম যে ব্যাচের টিকা হাতে পেয়েছে তা চীনের। ভাইরাসটি সংক্রমণের ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো ভেদাভেদ মানেনি স্বাভাবিকভাবে এর প্রতিষেধক বণ্টনে বৈষম্য প্রত্যাশিত নয়। তার চেয়ে বড় কথা, করোনা যেহেতু বৈশ্বিক সংকট, বৈশ্বিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর