শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজনীতিক ও আমলা যার যার স্থানে থাকুন

মেজর জিল্লুর রহমান (অব.)

রাজনীতিক ও আমলা যার যার স্থানে থাকুন

আমলাদের ক্ষমতার উৎস রাজনীতিকরা। মীমাংসিত বিষয় নিয়ে অযথা কালক্ষেপণ পন্ডশ্রম মাত্র। সংসদে আমলানির্ভরতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজনীতিকরা। আমলা-রাজনীতিক ক্ষমতা দক্ষতা মর্যাদার মনস্তাত্ত্বিক সুপ্ত লড়াই সভ্যতার প্রাচীন রসায়ন। রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতিক আর আমলা অবিচ্ছেদ্য উপকরণ। হৃৎপিন্ডের দুটি বাল্ব যেমন সমন্বয় করে স্বীয় কাজ করে শরীর সচল রাখে। সংসদের আলোচনায় রাজনীতির কিছু নেই, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই, মাথাব্যথা নেই। জনসেবার দায়িত্ব পাশ কাটিয়ে সংসদে আলোচিত হয় আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ কার ওপর কে, তাতে দেশের কী উপকার হবে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কাজের চেয়ে আমি কত বড় পদের তার স্বীকৃতি আদায় করা বড় কাজ। জওহরলাল নেহরু একবার বলেছিলেন, ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রী না বলে সেবক বললে আমার কাজের সঙ্গে সংগতি হবে’। কথাটির ভাবার্থ আমাদের রাজনীতিকদের রপ্ত করা দরকার। ডিম আগে না মুরগি আগে- এ গবেষণায় করোনায় ঘরে বন্দীর পেটে আহার কি আসবে? কে জোটাবে তাদের অন্ন সে কথা জবানে এলো না নেতাদের। মির্জা ফখরুল আর জি এম কাদেরের একঘেয়েমি জিকির, পালাগান আর কবিগানের চর্বিতচর্বণে মানুষ বিরক্ত। রাজনীতি কোথায়? নেতারা আত্মস্বার্থ হাসিলে লড়াই চালাচ্ছেন। জনগণের দুর্দশা লাঘবের নেতার আজ অভাব।

সংসদে অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান, বর্ষীয়ান নেতা, তারকা রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স দেখিয়ে নসিহত করলেন সংসদ সদস্যের অবস্থান সচিবের ওপর। তিনি এ কিতাবের প্রথম শর্ত বলেননি। আমলানির্ভরতা ছিল, আছে থাকবে।

দুই নক্ষত্র রাজনীতিক সংসদে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও বেদনার বোম ফাটিয়েছেন। রাজনীতিকরা সাইডলাইনে বসে আঙুল চুষছেন। স্বীকৃত তত্ত¡ রাজনীতিকরা নেতৃত্ব দেবেন, দিকনির্দেশনা দেবেন আদর্শিকভাবে। রাজনীতিকরা নীতিমালা তৈরি করবেন, আমলারা বাস্তবায়ন করবেন।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিনির্মাণ, জনগণকে সংগঠিত করা, জনগণকে মুক্তিপাগল করেছেন রাজনীতিকরা। জেল-জুলুম, অত্যাচার, অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট-বেদনা বুকে, মাথায় মামলা, হুলিয়া নিয়ে জনতার স্বার্থে দুর্দমনীয় প্রত্যয়ে অধিকারবঞ্চিতদের দাবি আদায় করতে রাজপথে থাকেন, জেলের ঘানি টানেন। এ পবিত্র দায়িত্ব পালনে তারা কখনো রক্তচক্ষু পরোয়া করেন না। রাজনীতিকরা জনগণের সঙ্গে মালকোঁচা দিয়ে কাজ করেন। খেতের আইলের ওপর বসে কিষানের সঙ্গে নুন-মরিচের ভাত খেয়ে ধন্য হন। জনস্বার্থে তারাই হাতে হাতকড়া, কোমরে রশি, ফাঁসির মঞ্চে তেজোদীপ্ত পায়ে এগোতে থাকে মহান ব্রত নিয়ে। রাজনীতিকরাই জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ-সুখ বলার স্থান। আগে রেওয়াজ ছিল প্রতি জেলায় একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকবেন। জনগণও তাই চায়। রাজনীতিকের সঙ্গে বাদানুবাদে মানুষ স্বচ্ছন্দবোধ করে, আপন মনে করে, অভিভাবক মানে। আমলারা কোনোভাবেই রাজনীতিকের মতো সত্য-মিথ্যা পরিত্যাগ করে জনগণকে পরম মমতার মানবিক বন্ধনে বাঁধতে পারবে না। রাজনীতিক ছাড়া কোনো সুবেশী বাবুকে জনগণ গ্রহণ করতে নারাজ।

রাজনীতি যারা আগে করতেন তারা বনেদি উচ্চবিত্ত শিক্ষিত মর্যাদাসম্পন্ন নির্লোভ ব্যক্তি ছিলেন। পৈতৃক সম্পত্তি বিলিয়ে দিয়েছেন মানবকল্যাণে। কষ্ট নিয়ে দেখতে হচ্ছে এখন রাজনীতি করতে এসে উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতারা নিজের আখের গোছাতে বাড়ি গাড়ি বিত্ত -বৈভবের মালিক হতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রাজনীতিকদের মহিমায় কালিমা লেপন করছে। জনগণ এসব হাইব্রিড স্বঘোষিত স্বার্থান্বেষীকে মন থেকে ভক্তি করে না, গুন্ডমির ভয়ে জি হুজুর জি হুজুর করে। সব প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার বক্সের পাশে রাজনীতিক। এদের কী বলা যায়- ব্যবসায়ী না সমাজসেবক?

শিশু রাজনীতিক শত কোটি টাকার মালিক, আবার তা পাচারেও হাত পাকিয়েছে। পদ-পদবি পাওয়ার আগে তার বাড়িঘরে চাকচিক্য ছিল না। সামান্য বর্ষাবাদলে ঘরের ফুটো চাল দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ত। আর্থিক সংগতি নুন আনতে পান্তা ফুরাত। ক্ষমতা পেয়েই আলাদিনের চেরাগ পেলেন, সুরম্য অট্টালিকা ঝলমলে মার্কেটের মালিক। বিভিন্ন সমিতি, প্রতিষ্ঠানপ্রধান চেম্বারের নেতা হয়েই বিলাসী জীবনে হাবুডুবু খাচ্ছেন। কী তাদের দৃশ্যমান আয়-রোজগার জনগণ সব বোঝে। কালো টাকা ও পেশিশক্তির কদর রাজনীতির মান টেনে তলানিতে নিয়েছে। অনেক ত্যাগে অর্জিত দক্ষ সৎ যোগ্য নেতাদের রাজনৈতিক সম্ভ্রম ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। আগাছা-পরগাছা কখনো ঝড়ঝাপ্টা মোকাবিলা করতে পারে না।

আমলারা ধাপে ধাপে কর্তৃত্ব কবজায় নেওয়ার মূলে রাজনীতির নীতিনির্ধারকদের দুর্বল নেতা নির্বাচন দায়ী কি না বিবেচনার দাবি রাখে।

কোনো আমলার অভ্যাস নেই খালি গায়ে লুঙ্গি পরা রাস্তার পাশে আসন গাড়া বেসামাল পরিচিত হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তির সমস্যা কেন সমাধান হলো না তার সওয়াল-জওয়াবের কৈফিয়ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেওয়ার। বিনা দাওয়াতে বিয়েতে হাজির, হাসপাতালে রোগীর পাশে, অনাহারীর মুখে অন্ন দেওয়া নিজের পরিবার অভুক্ত রেখে, দেউলিয়া হয়ে নিজ এলাকার হতদরিদ্রের মুখে হাসি ফোটানোর প্রাণান্ত চেষ্টা একমাত্র রাজনীতিকরাই করেন। গভীর রাতে বিপদের কথা শুনে ছুটে যাওয়া, অভাবীর বোনের বিয়ের খরচ দ্বারে দ্বারে হাত পেতে অর্থ জোগাড় করে দেওয়া। দিনমজুর রহিমের চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ করা রাজনীতিবিদদের স্বভাবের অংশ। আমজনতার শেষ ভরসার স্থান নেতার ঘরের বারান্দা। এ অথই সমস্যার মধ্যে আমলারা পড়লে দিশাহারা হয়ে যাবেন। আমলাদের জনগণ বিপদের সাথী মনে করে না।

টাই পরা প্রশিক্ষিত জীবনভর শৃঙ্খলার অভ্যাসে আবদ্ধ কোনো আমলার পক্ষে গ্রামারের বাইরে গিয়ে এসব বহুরূপী অসাধ্য দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, তারা এসব ঝামেলা হজম করতে অভ্যস্ত নন। রাজনীতির কেমিস্ট্রি আলাদা, রক্তে থাকতে হয় জনদরদ, ত্যাগের অনুশীলন দরকার হয়। তাই অনেক জাঁদরেল আমলা অবসরে রাজনীতি করে ভালো করতে পারেননি। অনেকে মাফ চেয়ে মাঠ ত্যাগ করেছেন।

বর্তমান সংসদ রাজনৈতিক ও নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পেছনে নৈতিক কৃতিত্ব¡ লাগে, তা বর্তমানে অনুপস্থিত। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে, নির্ভেজাল টিকে থাকার জন্য আমলাদের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে। অনেক রাজনীতিক বিশেষ পাহারা ছাড়া এলাকায় যেতে পারেন না, গেলে গণআপ্যায়ন পাবেন টকশোতে এমন কথা উচ্চারিত হয়। দিন দিন রাজনীতিকদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। আমাদের খারাপ দিক অতীতমুখিতা। অতীতের খারাপ কাজ দিয়ে বর্তমান খারাপ কান্ড জায়েজ করার অপচেষ্টা। দলের চশমা দিয়ে দেশ দেখেন শুধু করুণা ভিক্ষা পাওয়ার তাগিদে। চামচামি চাটুকারী বেহায়াপনার বচন জাতিকে উত্তম নেতা দিতে পারে না। দুর্বৃত্তরা রাজনীতি দখল করছে। মনোনয়নে কে কত ত্যাগী নিবেদিত সৎ বিবেচ্য বিষয় নয়। মনোনয়ন তাকে দেওয়া হয় যে অর্থ খরচ করে গুন্ডা ও প্রশাসন কাজে লাগিয়ে কত টাকা খরচ করে বের হয়ে আসতে পারবে। আমলারা বেনামে ব্যবসায়ী হচ্ছেন। রাজনীতিকদের বিরামহীন নেত্রীবন্দনা আর বিরোধী দলের গালি দেওয়া ছাড়া অনেক কাজ আছে। সেই জ্ঞান অর্জনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

আমলাদের চিকন বুদ্ধি আর পরিশীলিত আচরণে সামনে এগিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, তাদের কথা চালচলন-বলনে আমজনতা সব বুঝে ফেলেছে। সংসদে এক সংসদ সদস্য খেদোক্তি করে বললেন, তারা তিন নম্বর সারিতে সবকিছুতেই হ্যাঁ বলতে হয়। দুই ধারার দুই ভাবনা। রাজনীতিক উদ্বিগ্ন থাকেন ফলাফল নিয়ে, আমলা উদ্বিগ্ন থাকেন আইনি প্রসেস নিয়ে, এ পার্থক্য রাজনীতিক আর আমলার মধ্যে।

প্রশ্ন হলো, সরকারপ্রধান নিজেই পাক্কা ঝানু রাজনীতিক, আশৈশব লালিতপালিত হয়েছেন রাজনৈতিক পরিবেশে। তিনি কেন আমলাদের জেলার দায়িত্ব দিলেন- এ বিশ্লেষণ রাজনীতিকরা করুক, সেখানে তাদের ব্যর্থতার আলামত পাবেন। করোনাকালীন ত্রাণ সাহায্য প্রাথমিক ধাপে রাজনীতিকদের দিয়েই শুরু করা হয়। তাতে দেখা যায় তেলের খনি চালের গোডাউন দলীয় পাতিনেতাদের ঘরে আবিষ্কৃত হলো। মোবাইলে টাকা গেল তা-ও চাতুরী করে লোকাল রাজনীতিকদের শ্যালক-শ্যালিকার পকেটে। স্বজন দলীয় লোক মুখ দেখে সাহায্য করে, প্রকৃত অভাবী ত্রাণ পায়নি, পেয়েছে দলীয় লোক।

প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা পাশ কাটিয়ে রাজনীতিকরা দলের ভোটের নিশ্চয়তাকারীকে ছিটেফোঁটা দান-খয়রাত করে সরকারপ্রধানের আস্থায় চিড় ধরিয়েছেন। রাজনৈতিক ইতিহাস সাক্ষী দেয় বিরোধী দলের অসার প্রচারের চেয়ে দলীয় লোক সরকারপ্রধানকে বেকায়দায় ফেলে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির পাইকারি অনুশীলন করে। এমন উদাহরণ অতীতে অনেক আছে। মালয়েশিয়ায় মাহাথির তাঁর উপপ্রধানমন্ত্রীকে হাজতে ঢুকিয়েছিলেন। দলীয় ব্যানার ব্যবহার করে বিএনপির চ্যালাচামুন্ডারা মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। রাজনীতিকের বেপরোয়া লিপ্সা রাজনীতি দিয়ে আয়ত্তে আনতে না পেরে খালেদা জিয়া ১৬ অক্টোবর, ২০০২ সালে ক্লিনহার্ট অপারেশনের আদেশ দেন মন্ত্রিপরিষদকে পাশ কাটিয়ে। সেনাপ্রধান জেনারেল হাসান মশহুদকে গোপনে অফিসে ডেকে অভিযান শুরু করতে আদেশ দেন। অভিযান সময়ে মন্ত্রীরা শঙ্কিত ছিলেন। গ্রেফতারের বেশির ভাগ অংশ ছিল সরকারি দল বিএনপি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো অভিযান চালান।

দেশ পরিচালনায় গোয়েন্দা তথ্য প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করে। রাজনীতিকদের উপলব্ধি করতে হবে তার সব কর্ম প্রধানমন্ত্রীর নজরদারিতে থাকে। সরকারপ্রধানের সঙ্গে চাকরি করার অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তাতে এখন মনে হয় অনেক রাজনীতিক বুঝতে চান না আমলা ছাড়া রাজনীতি চলে না, রাজনীতিতে সুফল পাওয়া যায় না।

কয়েক দিন দেখছি রাজনীতিকের আর আমলার কর্তৃত্ব শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, অনেকে বলছেন ধান ভানতে শিবের গীত ধরছেন। শিবের গীত বা বারী সিদ্দিকীর গীত হোক নির্বাচনে আমলারা বিধিবিধান পাশে রেখে কাগুজে নির্বাচন করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। সমালোচনা হয় আজকের এমপি নিজের যোগ্যতায় এমপি হননি, আমলারা রশি টেনে গুণ টেনে নৌকা ঘাটে ভিড়িয়েছেন।

সাবেক সচিব রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ছিলেন বড় রসিক আমলা। তিনি এক টকশোয় যোগ্যতা বোঝাতে রসিকতা করে বলেছিলেন- এক মন্ত্রী প্রথমে অফিসে এসে সচিবকে তলব করে বলেন, নির্বাচনে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে, সামনে আবার নির্বাচন, টাকা জোগাড় করেন, জি স্যার দেখছি। অনেক দিন গেল তাগাদা দিলেন, স্যার কাজ করছি। সচিব ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি করে টেন্ডার যাচাই-বাছাই করে ফাইল পেশ করলেন। মন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ‘নো অ্যাপ্রæভ’ লিখলেন। সচিব নো দেখে বললেন, স্যার করছেন কী? মন্ত্রী বললেন হবে না। আমি টাকার কথা বলেছি সেই ফাইল কোথায়? স্যার এটাই সেই ফাইল। বিধিবিধান দেখে তৈরি করতে সময় লেগে যায়। তাই নাকি এখন কী করা, ঠিক আছে স্যার যা লেখার লিখেছেন। এক কাজ করেন স্যার, যে কলম দিয়ে নো অ্যাপ্রæভ লিখেছেন সেই কলম দিয়ে নো এর পরে টি ই বসিয়ে দিন তাহলে নোট অ্যাপ্রæভ হবে। বাছাই করে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ঘাটে মাঠে চাকরি ঠ্যালা গুঁতা খেয়ে আমলা হয় তাদের সঙ্গে শুধু নেত্রীর বন্দনা করে দলের কর্মীর পদ পাওয়া যাবে। আমলার ওপর শ্রেষ্ঠত্বের গুণ পাওয়া যাবে না।

সবাই মিলে দেশ চালাতে হবে, আমলারা রাজনীতিতে তেমন ভালো কেউ করেনি। রাজনীতির রসায়ন আলাদা। শুধু মেধা দিয়ে হয় না, মানুষের চাওয়া-পাওয়া, দয়া-মায়া ধৈর্য থাকতে হয়। তাই বলব রাজনীতিকরা তাদের স্থানে থাকুন, আমলারা থাকুন তাদের স্থানে।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর