শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু তহবিল

সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনে সব থেকে খারাপ প্রভাব পড়বে যেসব দেশে তার অন্যতম বাংলাদেশ। কিন্তু উন্নত বিশ্ব তাদের দায়-এর অনুপাতে এ ধরনের ভঙ্গুর রাষ্ট্রগুলোকে ন্যায্য অর্থায়নে উদাসীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই অন্যের সাহায্যলাভের আশায় কালক্ষেপণের নীতি পরিহার করেন। ২০০৯ সালে তিনি বিশ্বের সামনে একটি রোল মডেল তৈরিতে যথার্থই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এর মূল লক্ষ্য নিজস্ব অর্থায়নে এ রকম একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বের সবার সামনে অনুসরণীয় উদাহরণ হাজির করা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা বাড়ানো এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষাই এর লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী আবারও জলবায়ু পরিবর্তন এবং চলমান করোনা মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় আরও তহবিল সরবরাহ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ‘প্রথম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অর্থ সম্মেলন (ভার্চুয়াল)’-এর উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় প্রযুক্তি স্থানান্তর ও অতিরিক্ত তহবিলের ব্যবস্থা করা উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নত দেশগুলোকে তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব এবং নৈতিক ও আইনি বাধ্যবাধকতা পালন করা উচিত। লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে চলমান কভিড-১৯ মহামারী নতুন করে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট যোগ করেছে। চলমান ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তহবিল বাড়াতে পাঁচ দফা প্রস্তাব রাখেন। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধে প্রতিটি দেশকে উচ্চাকাক্সক্ষী লক্ষ্য অনুসরণের তাগিদ দেন। জলবায়ুর ক্ষতির মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো। বাংলাদেশ ‘খুরুশকুল স্পেশাল শেল্টার প্রজেক্ট’ নামে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবায়ু শরণার্থী পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় সবার ঐক্য ও সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর