রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কোরবানির পশুর বিপণন

গ্রন্থিমোচনে জুতসই ব্যবস্থা নিন

করোনাভাইরাস মহামারী ভয়ংকরভাবে থাবা বিস্তার করায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাট খোলা হবে কি না সংশয় দেখা দিয়েছে। এমনিতেই মহামারীজনিত অর্থনৈতিক সংকটে যারা নিয়মিত কোরবানি দেন তাদের অনেকের পক্ষে কোরবানি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এর ফলে যেসব খামাারি কোরবানির হাট টার্গেট করে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ পালন করেন তারা পড়েছেন মহাসংকটে। কোরবানির হাটের বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পশু বিক্রির হাট চালুর নানা উদ্যোগ থাকলেও তা ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো পক্ষকে আশ্বস্ত করতে পারছে না। লকডাউনের কারণে দেশের প্রায় সর্বত্র পশুর হাট বন্ধ করেছে প্রশাসন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা রয়েছে সংকটে। ঈদের আগে পশুর হাট খুলবে কি না এ নিয়ে খামারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় পড়েছেন। রংপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে ১১টি পশুর হাট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। অন্যদিকে ‘পশুর হাট’ নামে একটি অনলাইন পেজ খোলা হলেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি। রংপুর জেলায় ছোট বড় অর্ধশত গরুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় চারটি। প্রচুর গরু বিক্রি হয় এসব হাটে। করোনা সংক্রমণ রোধে রবিবার থেকে হাটগুলো বন্ধ থাকায় খামারিরা চাচ্ছেন দ্রুত তাদের পশু বিক্রি করতে। ক্রেতার মধ্যে অনেকে আগেভাগে কোরবানির গরু কিনতে চান কিছু কম দামে। কিন্তু এবার হাট বন্ধ থাকায় তা-ও পারছেন না অনেকে। এ শুধু রংপুর নয়, গরুর খামার রয়েছে যেসব এলাকায় সেগুলোর এক সাধারণ চিত্র। খামারির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষের সংসার চলে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া পালনের মাধ্যমে। তাদেরও টার্গেট থাকে ঈদের বাজার। চলতি বছর করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ঈদে পশু কেনাবেচা নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে তা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। খামারি ও পশুপালকদের স্বার্থেই সমস্যার গ্রন্থিমোচনে জুতসই ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর