সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আমরা ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়েছি

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

আমরা ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়েছি

পয়লা জুলাই বাংলাদেশের দুজন সাহসী সাংবাদিক একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে বাংলাদেশের একটা বহুল প্রচারিত অনলাইন নিজউ পোর্টালে, যার শিরোনাম ছিল, কক্সবাজারের মূর্তিমান আতঙ্ক আল-ইয়াকীন। প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী আল-ইয়াকীন একটা রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম, যাদের কাছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে এবং কক্সবাজারে বর্তমানে এদের প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে দেড় শ’র মতো নারী সদস্যও আছে।

জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে ভয়াবহ যে আগুনের ঘটনা ঘটে তা ছিল আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় আল-ইয়াকীনের কাজ। তারা চাঁদাবাজি, নারী পাচার এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত। উল্লিখিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আল-ইয়াকীনের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বাঙালিদের অপহরণ করে পাহাড়ের ওপর গহিন জঙ্গলে নিয়ে অত্যাচার চালায় এবং অপহৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা বাগিয়ে নেয়। এরকম ভুক্তভোগী দুয়েকজনের করুণ ভাষ্যচিত্র ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৪ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটা খবরের শিরোনাম ছিল-টেকনাফে তিন বাঙালি সহোদরকে গুলি, নারীসহ দুই রোহিঙ্গা গ্রেফতার। ডজনেরও বেশি সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণহীন অপতৎপরতায় এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ও বাঙালি মিলে পঞ্চাশেরও অধিক নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এরকম চলার পরিণতিতে নিরীহ রোহিঙ্গা, স্থানীয় বাঙালি এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ক্রমশই এটা বড় হুমকি হয়ে উঠছে। কীভাবে এসব অস্ত্র ক্যাম্পের ভিতর ঢুকল, কেনই বা তা উদ্ধার করা যাচ্ছে না, এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। শোনা যায় বড় রাস্তার পাশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু তৎপরতা থাকলেও রাতের বেলায় ভিতরের ক্যাম্পগুলোতে কী হয় তার খোঁজ কেউ রাখে না। উল্লিখিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখলাম, একটা ভিডিও বার্তা প্রতিবেদকদের হাতে এসেছে, তাতে আল-ইয়াকীনের নেতারা দাবি করছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার আরাকানের অংশ। তারা এতদিন মিয়ানমারের রাখাইনে ছিল, এখন তাদের আরেক রাজ্য কক্সবাজারে এসেছে। তারা এখানেই থাকবে এবং দাবি আদায়ে কক্সবাজারের নিয়ন্ত্রণ নিবে। মামাবাড়ির আবদার আর কী। তাদের এই দিবাস্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না। কথা সেটা নয়। কথা হলো, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে তারা ছোট করে দেখছে এবং স্পর্ধার সব সীমানা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এখানে আরেকটি কথা বলে নেওয়া ভালো। আমি নিজে একাধিকবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেছি এবং স্থানীয় সাংবাদিকরাও বলেছেন, ক্যাম্পের বৃহত্তর রোহিঙ্গারা নিরীহ, অসহায় ও নিঃস্ব, তারা বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের সবাইকে জিম্মি করে ফেলছে। লাশ পড়ার ভয়ে সাধারণ রোহিঙ্গারা মুখ খুলতে পারে না, নিজেদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করতে পারে না। ২০১৭ সালেই আমরা কথা বলে দেখেছি রাখাইনে আর্থিকভাবে খেয়েপরে এই সাধারণ রোহিঙ্গারা মোটামুটি ভালোই ছিল। নিজস্ব জমিতে কৃষি কাজ, মাছের চাষসহ খেতখামার থেকে আসা আয়ে তাদের সংসার চলত। কিন্তু বিদেশি অর্থ প্রাপ্তি ও প্ররোচনায় কিছু রোহিঙ্গা নেতা এবং পক্ষ  উদ্ভূত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথে না থেকে সশস্ত্র পথ বেছে নেওয়ায় পাল্টা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সীমাহীন গণহত্যার শিকার হয়ে তারা আজ দেশান্তরী হয়েছেন। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাংলাদেশ কখনো নাক লাগাতে যায়নি। শুধু প্রতিবেশী হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার মানবিক ও মৌলিক চাহিদা সংবলিত সব বিষয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু ওই একই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিরীহ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে, নাম ভাঙিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। এদের আর ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। বুঝতে পারি বড় ধরনের অভিযান চালাতে গেলে অনেক সাধারণ নিরীহ রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু এই নিরীহ রোহিঙ্গাদের বৃহত্তর স্বার্থে ও বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কিছু বিদেশি সংস্থা, এনজিও এবং রাষ্ট্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছি, যা অত্যন্ত রহস্যজনক এবং আমার কাছে দুরভিসন্ধিমূলক মনে হয়। স্থানীয় একজন সাংবাদিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে আমাকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে বিদেশি একটি এনজিও কক্সবাজারের স্থানীয় কিছু সাংবাদিককে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়াদির ওপর একটা ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। সেখানে জেনেভা থেকে একজন প্রশিক্ষক ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। তাতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছু বাংলাদেশ করছে এবং করবে, কিন্তু সন্ত্রাসী জঙ্গি তৎপরতা সহ্য করা হবে না। রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে জঙ্গি সন্ত্রাস তৈরি হলে তা পুরো অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করবে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক বড় শক্তিগুলোর পারস্পরিক বিরোধী অবস্থা দেখে মনে হয় সহসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না। সুতরাং কঠিন হলেও বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা কার্যকরের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কোন দেশ, সংস্থা, এনজিও কী করবে, কী বলবে তা নয়, নিরীহ বৃহত্তর রোহিঙ্গাদের স্বার্থে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া, দেয়াল নির্মাণসহ ক্যাম্পের ভিতরে শক্তিশালী কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং সব সন্ত্রাসীকে জেলে পুরতে হবে। ক্যাম্পের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়ে ঢিলেঢালা পন্থা বিপজ্জনক হবে। বাংলাদেশের ওপর কাউকে ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ দেওয়া যাবে না। কোনো রাষ্ট্রই আমাদের শত্রু নয়। সবাই নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছে। আমাদেরও সেটাই করতে হবে। আল-ইয়াকীনের কথায় ফিরে আসি। জুন মাসের ২২ তারিখে রাতের বেলায় একটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আল-ইয়াকীনের একটা গ্রুপের মিটিং হয়। তাতে নেতৃত্ব দেয় আবু বকর নামের এক রোহিঙ্গা। ওই মিটিংয়ে আলোচনা হয় আগামীতে তারা কক্সবাজারের একটা থানা আক্রমণ করবে এবং তারপর দাবি-দাওয়া তুলে ধরে প্রচার চালাবে। আমাকে যিনি এ তথ্য দিয়েছেন তিনি নিশ্চিত করেছেন এই মিটিংয়ের খবর আমাদের রাষ্ট্রীয় সংস্থার লোকজনও জানতে পেরেছে। আল-ইয়াকীন নামটি কিন্তু নতুন নয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যখন গিয়েছিলাম তখন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষের মুখেই আল-ইয়াকীন নামটি শুনেছি। তখন তারা বলেছেন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাকে রাখাইনে স্থানীয়ভাবে নাকি আল-ইয়াকীন নামে ডাকা হয়। দ্য গার্ডিয়ান ও টাইম পত্রিকার সাংবাদিক ফ্রান্সিস ওয়েড কর্তৃক লিখিত ‘মিয়ানমার’র এনেমি উইদিন গ্রন্থের ১৭-২০ পৃষ্ঠা, থান্ট মিন্ট ইউ কর্তৃক লিখিত, ‘দ্য হিডেন হিস্টরি অব বার্মা’ গ্রন্থের ২৩২-২৪৮ পৃষ্ঠা এবং কিছু প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও পত্রিকার তথ্যসূত্রে এই আরসা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরি। ব্রাসেল ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুসারে সৌদি আরবে বসবাসরত এবং পাকিস্তান অথবা আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি নামক ব্যক্তি ২০১২ সালে আরসা গঠন করে। আতাউল্লাহর বাবা পাকিস্তানে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মা পাকিস্তানি। আরসার প্রথম অ্যাকশন দেখা যায় ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর। সেদিন তারা রাখাইনে একটা পুলিশ পোস্টে আক্রমণ চালিয়ে ৯ পুলিশকে হত্যা করে এবং ৬২টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার দুই দিন পর এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে আরসা। পাল্টা সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে ক্লেনজিং অপারেশন চালায়। তখন প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে চলে আসে। ২০১৭ সালে জুলাইয়ের ৩ তারিখে ঢাকা ট্রিবিউনে প্রবীর কুমার সরকারের এক লেখায় জানা যায়, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এবং বাংলাদেশের আনসার আল ইসলাম আহ্বান জানায়, বাংলাদেশের মুসলিম যুবকরা যেন আরসাতে যোগদান করে। থান্ট মিন্ট ইউ কর্তৃক লিখিত বইয়ের ২৩৭-২৩৮ পৃষ্ঠার বর্ণনা অনুযায়ী ২০১৭ সলের ২৫ আগস্ট ভোররাতে আরসা বাহিনী ৩০টি পুলিশ পোস্টের ওপর একসঙ্গে আক্রমণ চালায়। তাতে মিয়ানমারের ১০ পুলিশ নিহত হয়। বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া ছিল মার্সিলেস, ভয়ংকর বীভৎস এবং সীমাহীন। রোহিঙ্গা জঙ্গি-সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বহু আগ থেকে জড়িত। ২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের একটা আনসার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায়। ১১টি রাইফেল ও গোলাবারুদ লুট হয়। আনসার কমান্ডার আলী হোসেনকে তারা হত্যা করে। পরবর্তীতে পুলিশ এই আক্রমণকারী দলের কমান্ডারকে আটক করতে সক্ষম হয়, যার নাম ওমর ফারুক, যিনি পাকিস্তানি নাগরিক ও জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায় ২০১৫ সালের ১৯ জুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় কক্সবাজারের তৎকালীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পাকিস্তানি তালেবান জঙ্গি সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন এবং কাজেও দেখিয়েছেন, বিদেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। সুতরাং কারও কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাঞ্ছনীয় নয়। শুরু থেকে বাংলাদেশ স্পষ্ট করে বলেছে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সংক্রান্ত সংকটে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়। সংকটের পক্ষ বিপক্ষ মিয়ানমারের শাসক গোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। ১১ লাখ রোহিঙ্গা যে কারণে আমাদের ওপর চেপে বসেছে তার কোনো দায় বাংলাদেশের নেই। শুধু রোহিঙ্গাদের হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ যথাসাধ্য সবকিছু করছে, যাতে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হয়। চলমান ভূ-রাজনীতির বাস্তবতায় সামরিক দৃষ্টিভঙ্গিজনিত কোনো পন্থায় এর সমাধান নেই, এটা সবাই বোঝেন। মিয়ানমারের বড় খুঁটি ও মুরব্বি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন বহুমাত্রিকতায় সমৃদ্ধ। তাই সমাধানের পথ কেন বের হচ্ছে না, সেটা এক বড় প্রশ্ন। দিন যত যাচ্ছে ততই তিন পক্ষ অর্থাৎ মিয়ানমার শাসক গোষ্ঠীর চরম চন্ডালনীতি, কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অতৎপরতা এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির স্বার্থগত দ্বন্দ্ব প্রতিযোগিতার ফায়ার ও কাউন্টার ফায়ারের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর