মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

টাইগারদের টেস্ট জয়

সাফল্যের এ ধারা ধরে রাখতে হবে

জিম্বাবুয়ে একসময় ছিল ক্রিকেটের শক্তিশালী দল। কালের বিবর্তনে সে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির মতো ক্রিকেটও দুরবস্থার শিকার। তার পরও জিম্বাবুয়ে সফরকে সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ইনজুরি সমস্যা ভোগাবে কি না তা নিয়েও ছিল শঙ্কা। কিন্তু সে শঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে টাইগাররা টেস্ট ম্যাচে জিতেছেন ২২০ রানের পাহাড়সম ব্যবধানে। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এটি টেস্টে বাংলাদেশের অষ্টম জয়। সে দেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়। চতুর্থ দিনই ম্যাচে জয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। রবিবার পঞ্চম দিন মিরাজ ও পেসার তাসকিন গুঁড়িয়ে দেন স্বাগতিকদের সব প্রতিরোধ। দুই টাইগার বোলারের বোলিংয়ে ৩ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ২৫৬ রানে। ৪টি করে উইকেট নেন তাসকিন ও মিরাজ। সব মিলিয়ে টেস্টে মিরাজের উইকেট ৯ আর তাসকিনের ৫। সাকিবও নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে ৪৭৭ রান টপকে জয়োৎসবে মেতে ওঠা একটু বেশিই কঠিন। এবার নিয়ে চারবার জিম্বাবুয়েকে ৪০০ রানের ওপরের টার্গেট দিয়ে সব কটিতেই জয় পেয়েছেন টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়কে খুব বড় কোনো অর্জন বলে ভাবার অবকাশ নেই। কারণ একসময় আফ্রিকান এ দলটির শক্তিমত্তা সমীহ কাড়লেও এখন তারা পেছনের কাতারের দল। তার পরও স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাদের তুলনায় নবীন দল। জিম্বাবুয়ে সফরের একমাত্র টেস্টে বড় ব্যবধানের জয় টাইগারদের সাহস বাড়াবে। শক্তিমান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ জয় শক্তি জোগাবে। হারারের এ টেস্টের মাধ্যমে টেস্ট খেলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্রিকেটের তিন ঘরানায় সাফল্য দেখালেও দীর্ঘদিন টেস্ট থেকে দূরে রাখা হয়েছিল তাকে। তামিমের ইনজুরি সমস্যা থাকায় জিম্বাবুয়ের হারারে টেস্টে মূল স্কোয়াডে নেওয়া হয় মাহমুদুল্লাহকে। তিনি দেড় শ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়ে প্রমাণ করেন তাকে টেস্ট দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল না। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট জয়ের জন্য টাইগারদের অভিনন্দন। সাফল্যের এ ধারা ধরে রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর