বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

ঝিঙা

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঝিঙা এক পরিচিত নাম। ঝিঙায় শতকরা ০.৫ ভাগ প্রোটিন, ৩.৪ ভাগ শ্বেতসার, ০.১ ভাগ চর্বি, ০.৩ ভাগ খনিজ পদার্থ, ৯৫.২ ভাগ পানি রয়েছে। এ ছাড়া ঝিঙায় ভিটামিন এ, বি এবং আমাদের শরীরের জন্য উপকারী দ্রব্যও রয়েছে। আমাদের দেশে ঝিঙার চাষ ভালো হয় এবং অর্থকরী ফসল হিসেবে এর চাষ করা যায়। এখানে বিজ্ঞানস¤মত ঝিঙা চাষ নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো। আবহাওয়া : গ্রীষ¥ ও বর্ষাকালে ঝিঙার চাষ করা যায়। তবে উষ্ণ ও আর্দ্র্য আবহাওয়ায় এর চাষ ভালো হয়। মাটি ও জমি প্রস্তুতি : সব রকমের জমিতেই ঝিঙা চাষ করা যায়। তবে পানি নিকাশের উপযুক্ত ব্যবস্থাযুক্ত উর্বর দোআঁশ জমিতে এর চাষ ভালো হয়। লম্বা ও প্রস্থভাবে তিন-চার বার হাল এবং মই দিয়ে জমি ঝুরঝুরে করে প্রস্তুত করতে হয়।

উন্নত জাত : পুসা নসধর ঝিঙার এক উন্নত জাত। এ জাতের গাছে প্রায় ৬০ দিনে ফুল আসে এবং গাছপ্রতি প্রায় ১৫-২০টি ঝিঙার ফলন হয়।

বীজের পরিমাণ : বিঘাপ্রতি ৫০০-৬০০ গ্রাম বীজের দরকার হয়। বোনার পদ্ধতি : বীজ বোনার আগে ভালোভাবে প্রস্তুত করা জমিতে ৫-৭ ফুট অন্তর একটি করে বেড তৈরি করতে হবে। বেডে ২-৩ ফুট অন্তর বীজ লাগানোর জন্য জায়গা করে প্রতি জায়গায় প্রায় ৫ কেজি পচা সার, ৪০-৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৪০-৫০ গ্রাম সুপার ফসফেট ও ৮০-৯০ গ্রাম মিউরেট অব পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। বীজগুলো এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে এক-দুই দিন কাপড়ে বেঁধে রেখে পর দিন বোনার আইলে বোনা দরকার। প্রতি জায়গায় ২-৩টি করে বীজ বপন করতে হয়। শুকনো বীজ বপন করলে জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে জমি ভিজে থাকে ও বীজ সহজে অঙ্কুরোদগম হতে পারে। ঝিঙার বীজ আষাঢ় পর্যন্ত বপন করা যায়।

 

                আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর