করোনাভাইরাসের থাবা মোকাবিলায় দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৬ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ১ হাজার ৬০৩ জন নৌপরিবহন শ্রমিক জনপ্রতি নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। সে হিসেবে ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন উপকারভোগীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৫৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি শহর এলাকায় নিম্ন আয়ের জনসাধারণের সহায়তার লক্ষ্যে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ২০ হাজার টন চাল ও ১৪ হাজার টন আটা বিতরণ করা হবে। ৩৩৩ ফোন নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ। এর আগেও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফের মাধ্যমে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কর্মসৃজনমূলক খাতে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পর্যটন খাতের হোটেল-মোটেল থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ অর্থ স্বল্প আয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষকে চরম বিপর্যয় থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে। সরকারের এ পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার ও অভিনন্দনযোগ্য। আমরা আশা করব প্রণোদনার পাশাপাশি সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে। টিকাদানের পাশাপাশি এ মুহূর্তে তা সবচেয়ে বড় কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।
