করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে উঠছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প। পরপর দুই মাস ৩০০ কোটি ডলার তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার পরও রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পের বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা হারানোর পদক্ষেপ না নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের নীতিনির্ধারকদের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক এক সভাপতি। পোশাকপণ্য রপ্তানির বিশ্ববাজার এখন খোলা। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপ-আমেরিকা এখন সচল। এমন সময়ে বাংলাদেশে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হলে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিলের পাশাপাশি গভীর ক্ষত সৃষ্টি হবে রপ্তানি বাণিজ্যে। করোনার প্রথম ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে গত মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। এদিকে দেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় মাসখানেক কারখানা বন্ধ থাকে। তাতে এপ্রিলে পোশাক রপ্তানি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে করোনাকালে প্রণোদনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাকশিল্প। এখন বিশ্ববাজার খোলা। আর এমন সময় পণ্য না পাঠাতে পারলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হবে। অন্যদিকে আকাশপথে পণ্য পাঠানোর খরচ বেশি। এখন লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখলে প্রণোদনার সুফল মিলবে না। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন ঈদসহ প্রায় ২০ দিনের ছুটিতে দেশের রপ্তানি খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলো ঈদের পর দ্রুত সম্ভব খুলে দিলে দেশের রপ্তানি খাত বহুমুখী বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। ক্রেতারা এখন ভারত ও ভিয়েতনামে অর্ডার দিচ্ছেন। ফলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ক্রয়াদেশ হারাবেন। মনে রাখতে হবে, পোশাককর্মীরা যেসব কারখানায় কাজ করেন সেখানে করোনার সংক্রমণ হার খুবই কম। কারখানা কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে খুবই সচেতন। এখন তৈরি পোশাক রপ্তানির ভালো সুযোগ রয়েছে। এখন প্রয়োজন গুণগত পণ্য উৎপাদন, কর্মীদের বাড়তি সুযোগ কিংবা প্রণোদনা দেওয়া। এ শিল্পকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।