শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

সংক্রমণ কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে

করোনাভাইরাসের কারণে ১৬ মাস দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। ফলে দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা হুমকির মুখে। কভিড সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সব বিষয়ে না নিয়ে বিভাগভিত্তিক (গ্রুপ) তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে নেওয়া হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এ বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা হবে। আর আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন হবে এসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ‘বিষয় ম্যাপিং’ করে। আর করোনার কারণে পরীক্ষা একান্তই নিতে না পারলে অ্যাসাইনমেন্ট এবং বিষয় ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে ফল মূল্যায়ন করা হবে। তবে সে ক্ষেত্রেও আবশ্যিক বিষয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি ও ধর্ম পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কেবল নৈর্বাচনিক বিষয়গুলোর সীমিত পরিসরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক এসব বিষয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হচ্ছে- এসব বিষয় প্রতি ক্লাসে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করেছে। জানা গেছে, পূর্ববর্তী জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির ফলাফল এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বাছাইয়ের বেশি সুযোগ পাবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এখন শিক্ষার সংকট বিশ্বব্যাপী। ইউনিসেফ-ইউনেসকো বলেছে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, শিক্ষার সংকট বিপর্যয়কর হতে পারে। স্কুল খুলে দিলে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। সবকিছু বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার। দেশে এখন সংক্রমণের যে হার এবং মৃত্যুর সংখ্যাও যা তাতে এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে তাদের পড়াশোনার বিষয় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। নতুবা আমরা পিছিয়ে পড়ব। করোনা পরিস্থিতিতে মাঝে অফিস-আদালত চালু ছিল। ঈদের পর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর