শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ভয়ংকর ক্রিস্টাল মেথ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সোচ্চার হতে হবে

নেশার জগতের নতুন সংযোজন ক্রিস্টাল মেথ। ১৮৮৭ সালে জার্মানি যুদ্ধবিমান চালকদের সারাক্ষণ নির্ঘুম রাখতে কড়া ড্রাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করে। ওই সময় আবিষ্কৃত হয় ক্রিস্টাল ড্রাগ। পরে এটি ক্রিস্টাল মেথ, আইস, ম্যাড-ড্রাগ ইত্যাদি নামে চালু হয়। ১৯৬০ সালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার শুরু হয়। একসময় উত্তর আমেরিকার যুবকরা এ মাদক ব্যবহার করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে নিষিদ্ধ করে। এরপর আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া হয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, লাওস, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয়। দাম অনেক বেশি হওয়ায় আমাদের দেশে সে সময় সাধারণের মাঝে এর ব্যবসা জমে ওঠেনি। কিন্তু এর ব্যবহার বাড়ছে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কয়েক মাসে গ্রেফতার হয়েছেন কয়েক বাহক। কিন্তু জব্দ করা ক্রিস্টাল মেথ পাচারের বসেরা ধরা পড়ছেন না। ক্রিস্টাল মেথ পাচারের ডনেরা ‘কাট আউট’ পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণে হদিস মিলছে না তাদের। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের তথ্যমতে, পাচারকারী চক্রের হোতারা মাদক বহন করেন না। ক্রিস্টাল মেথের চালানের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্ব^ন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর বাহককে ধরার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিস্টাল মেথের চালানের মূল ব্যক্তিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। ক্রিস্টাল মেথ বহনকারী এর ক্রেতা-বিক্রেতা কারোর নাম জানেন না। বাহকদের মোবাইল নম্বর কিংবা বিশেষ কোড দেওয়া হয়। দেখতে স্বচ্ছ এ মাদকের কার্যকারিতা ইয়াবার চেয়ে শতগুণ বেশি। সিনথেটিক স্টিমুল্যান্ট জাতীয় এ মাদক মুখ, ধোঁয়া ও ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই নার্ভ সার্কুলেশন বেড়ে যায়। তাই মাদক সেবনকারীদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে ভয়ংকর এ মাদক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর