মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু হলো এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। ডেঙ্গুর চার রকমের ভাইরাস আছে। এটি সংক্রমিত হয় মশার মাধ্যমে। এককালে অনেক দেশে একে হাড়ভাঙা রোগ বলা হতো, কারণ এতে শরীরের গ্রন্থি ও পেশিতে অসম্ভব ব্যথা হয়।

কীভাবে সংক্রমিত হয় : ম্যালেরিয়ার মতো ডেঙ্গুর ভাইরাসও মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় মশার কামড়ে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মশাটি হলো এডিস জাতের বিভিন্ন মশা। এ মশাগুলো ডেঙ্গু রোগাক্রান্ত লোককে কামড়িয়ে প্রথমে নিজেরা রোগগ্রস্ত হয়। পরে সুস্থ ব্যক্তিদের কামড়ে তাদের রোগগ্রস্ত করে।

ভাইরাসের ধরন : ডেঙ্গু চার ধরনের ভাইরাসের যে কোনো একটির জন্য হতে পারে। এ ভাইরাসগুলো হলো- ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। মুশকিল হলো একটি ভাইরাসের আক্রমণে ডেঙ্গু হলে শুধু সে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। ফলে অন্য ভাইরাসের আক্রমণে আবারও ডেঙ্গু হতে পারে। অর্থাৎ সারা জীবনে একটি লোকের চারবারও ডেঙ্গু হতে পারে।

রোগের লক্ষণ : সাধারণত ডেঙ্গু রোগবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে জ্বর দিয়ে রোগটি শুরু হয়। জ্বর প্রায় ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে, সেই সঙ্গে ভীষণ মাথা ধরা, চোখের পেছনে ব্যথা, গ্রন্থি ও পেশিতে তীব্র যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব বা বমি হয়। জ্বর আরম্ভ হওয়ার তিন-চার দিনের মধ্যে গায়ে লালচে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর এ উপসর্গগুলো না-ও থাকতে পারে।

চিকিৎসা : ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত দুই সপ্তাহে রোগী সুস্থ হয়। যা দরকার তা হলো বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নেওয়া। প্রচুর পানি ও তরল জিনিস খাওয়া, জ্বর কমানোর ওষুধ খাওয়া (আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের উপদেশ হলো অ্যাসপিরিনের বদলে অ্যাসিটামিনোফেন অথবা অন্য কোনো ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া)। রক্তস্রাবী ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ না হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণে সে সংখ্যা শতকরা ১ ভাগের চেয়ে কম।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর