শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সম্পদের হিসাব

সরকারি কর্মচারীদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হোক

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া একটি বিধিবদ্ধ নিয়ম। তবে সে নিয়ম প্রতিপালনে তাদের বড় অংশের অনীহাও ওপেন সিক্রেট। এ অনীহার কারণে আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী যাতে সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের সম্পদের বিবরণী পেশ করেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে। বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঘুষ-দুর্নীতি একে অন্যের অনুষঙ্গ বলে বিবেচিত। সবার জন্য প্রযোজ্য না হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা ধ্রæব সত্য। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা পান। কিন্তু সরকারি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দিতে হয় না এমন নজির খুঁজে পাওয়া ভার। বর্তমান সরকার আমলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সুযোগ-সুবিধা কয়েক গুণ বেড়েছে। সৎভাবে তারা যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু এ উদ্যোগ সরকারি অফিসে দুর্নীতি কমিয়েছে এমনটি বলার সময় আসেনি। এ প্রেক্ষাপটে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দাখিল করার যে বিধান রয়েছে তা প্রতিপালনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা খুবই প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যের দাবিদার। তবে সম্পদের হিসাব জমাদানের বিধিবদ্ধ নিয়ম প্রতিপালিত হলেই প্রশাসনে স্বচ্ছতা আসবে এমনটি আশা করা বোকামি। এজন্য জমাকৃৃত হিসাবে সম্পদের সত্যিকারের চিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে কি না যাচাই করে দেখা জরুরি। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্টদের পরিবারের আর্থিক হিসাব এমনকি শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থানের বয়ান সংরক্ষণ করার কথা ভাবতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা বিদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয় এ এক স্বীকৃত বিষয়। এ ধরনের অপরাধ বন্ধেও উদ্যোগ নিতে হবে। দুর্নীতি বন্ধে সরকার কঠোর হলে সাধারণ মানুষ উৎকোচ না দিয়েই সরকারি অফিসের সেবা ভোগ করার সুযোগ পাবেন। সেদিকে নজর না দিয়ে সরকারি দফতর নামের সাদা হাতি পোষা হবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার শামিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর