বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকাদান কর্মসূচি

দূর হোক করোনার অভিশাপ

করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় যে টিকা এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় দুনিয়ার অনেক অগ্রসর দেশের আগে। শুরুতেই ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা তাদের এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। অথচ অগ্রসর অনেক দেশে প্রথমে ষাটোর্ধ্বদের জন্য টিকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। টিকা গ্রহণের হারের দিক থেকেও বাংলাদেশ ছিল গুটিকয় দেশের একটি। বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সর্বপ্রথম অনুমোদন পাওয়া টিকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতে ওই টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি টিকা কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তারা টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই প্রতিকূলতা অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে সরকারের ত্বরিত উদ্যোগে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরেশোরে টিকা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ভারত থেকে টিকা না আসায় চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও দেশে এখন পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে। বিপুল পরিমাণ টিকা সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। অক্সফোর্ডের ৩ কোটি, সিনোফার্মের ৩ কোটি, জনসনের ৭ কোটি, রাশিয়ার ১ কোটি, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৬ কোটি ৮০ লাখ সব মিলে ২১ কোটি ডোজের মাধ্যমে ১৪ কোটি বা দেশের ৮০ ভাগ লোককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এর মধ্যেই টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে টিকার নিশ্চয়তা দিতে বাড়াতে হবে আরও সক্ষমতা। কেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি সহজলভ্য করতে হবে করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাদান। প্রধানমন্ত্রী টিকাদান কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি করোনাভাইরাস রোধে যে বিধিনিষেধ পালন করা হচ্ছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৪ হাজার চিকিৎসক ও ৪ হাজার নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যা বাস্তবায়ন হলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর