শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রণোদনা কর্মসূচি

দেশবাসীর মনে সাহস জোগাবে

চোখে দেখা যায় না এমন এক ভাইরাসের নাম কভিড-১৯ যা আমাদের দেশে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে করোনাভাইরাস নামে। আকারে যত তুচ্ছই হোক না কেন এটি ভয়াল দৈত্য হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছে দুনিয়াজুড়ে। ইতিমধ্যে তা তছনছ করে দিয়েছে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও কয়েক কোটি। মানবসমাজ গত ১০০ বছরে এতটা বিপন্ন বোধ করেনি কোনো বিপদে। এমনকি প্রথম কিংবা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেও নয়। করোনায় সংক্রমণ কিংবা প্রাণহানির চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠতে যাচ্ছে ক্ষুধার জ্বালা। বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে সফলভাবে করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা দেখালেও বেকার হয়ে পড়েছে অন্তত এক তৃতীয়াংশ কর্মজীবী। আয় কমেছে ৮০ শতাংশ মানুষের। গণমানুষের এ দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। ঈদুল আজহার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ১৭ লাখ ২৪ হাজার দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মধ্যে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার নগদ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সুরক্ষায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্যাকেজের আওতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা হিসেবে ওই প্রণোদনা পৌঁছানো হয়েছে। কর্মসূচি অনুযায়ী ১৪ লাখ ৩৭ হাজার দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার পরিবহন শ্রমিক এবং প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ১ হাজার ৬০৩ জন গ্যারেজ শ্রমিকের মধ্যে ঈদের দুই দিন আগে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়। ২৩ জুলাই শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য এ অর্থ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আশা করা হচ্ছে। এর আগে এপ্রিলে ৩৫ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়। স্বীকার করতেই হবে, এ সহায়তা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনের তুলনায় তুচ্ছ। তার পরও সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হবে সরকার তাদের পাশে আছে। সংকট মোকাবিলায় যা তাদের সাহস জোগাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর