সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

গণটিকা

জনসচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে

রোগব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পেতে মানবদেহে তিন ধাপের প্রতিরক্ষা স্তর রয়েছে। প্রতিটি স্তরের ভৌত কিংবা রাসায়নিক প্রতিবন্ধকগুলো জন্ম থেকেই সদাসতর্ক রয়েছে দেহে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করে দিতে। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত যুদ্ধ করোনার বৈশ্বিক অতিমারী। মরণঘাতী এই কভিড-১৯-কে ধ্বংস করতে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়ার ভ্যাকসিন। কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতের বিভিন্ন পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে ৭৩টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে, ২৪টি প্রথম পর্যায়ে, ৩৩টি দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ১৫টি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল অবস্থানে রয়েছে। ১৬টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ টিকা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করে আগেভাগে। তারপরও গণটিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে। মালদ্বীপ বাদে সার্কভুক্ত সাতটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পিছনে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধানদের নিয়ে গঠিত কভিড-১৯ টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ যেমন জনসংখ্যার বিপরীতে দুই ডোজ টিকা পাওয়া মানুষের হারের দিক দিয়ে পিছনের সারিতে রয়েছে, তেমনি পিছিয়ে আছে এক ডোজ টিকা পাওয়া মানুষের হার ও দৈনিক টিকাদানের ক্ষেত্রেও। জনসংখ্যার বিপরীতে কত গণটিকায় দক্ষিণ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, কত টিকার সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, গণটিকাদানের গতি কেমন ইত্যাদির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ৬১ শতাংশকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভুটান, প্রায় ৬২ শতাংশ। এরপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। মোট জনসংখ্যার অনুপাতে এক ডোজ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর