বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

অ্যালার্জি প্রতিরোধের উপায়

অ্যালার্জি শব্দটি যদিও আজ আর কারও কাছে নতুন কিছু নয় তবু এ সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা সবার জন্য অতীব জরুরি। কেননা শ্বাসকষ্ট, একজিমাসহ বহু চর্মরোগের জন্য দায়ী এ অ্যালার্জি। ধুলাবালি, ফুলের রেণু, নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও ওষুধ মানুষের শরীরে প্রদাহজনিত যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সাধারণভাবে তাকেই আমরা অ্যালার্জি বলে জানি। অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পেতে ট্রিপটোফেন-সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি। অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে ঋষি মাশরুম ভালো কাজ করে। এটা হিস্টামিন তৈরিতে বাধা প্রদান করে ও প্রদাহ কমায়। অনন্তমূল গাছের পাতায় ও শিকড়ে টাইলোপিরিন নামে যে উপাদান থাকে তা অ্যালার্জিজনিত শ্বাসনালির প্রদাহসহ অ্যাজমার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পাওয়ার এক অনন্য নাম কুঁচিলা। এ গাছে স্টিকনিন, ব্লুসিনসহ নানা মূল্যবান উপাদান তৈরি হয়। একটু শীতেই অনেকে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায় ভোগেন যা কোল্ড অ্যালার্জি নামে পরিচিত। এটা এড়াতে বেশি করে পানি পান করা উচিত। ফলের রস, বিশেষত কমলালেবু বা পাতিলেবুর রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। গরম পানির ভাপ নিতে হবে দিনে অন্তত চারবার। একটুকরো মিছরি, লবঙ্গ বা আদা মুখে রাখতে হবে। মধুর সঙ্গে তুলসী বা বাসক পাতার রস মিলিয়ে খেতে হবে। সর্দি-কাশির সঙ্গে গলা ব্যথা হলে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লবণ দিয়ে দিনে দু-তিন বার গার্গল বা কুলকুচা করতে হবে। সমপরিমাণ মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিট অন্তর বড় চামচের এক চামচ খেলে গলা ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ৫ গ্রাম শুকনো হলুদ গুঁড়া, ২৫০ মিলি দুধ এবং দুই চামচ চিনি ১০ থেকে ১২ মিনিট ফুটিয়ে সে দুধ খেলে সর্দি কমে যায়। আদা ও তুলসী পাতা এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে তাতে এক কাপ মধু মিশিয়ে দিনে চার-পাঁচ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়। খানিকটা পানি ফুটিয়ে তার সঙ্গে একটি পাতিলেবুর রস আর অল্প চিনি বা লবণ মিশিয়ে গরম গরম খেলে আরাম পাওয়া যায়।

ডা. আলমগীর মতি

সর্বশেষ খবর