বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

গৃহহীনদের গৃহদান

সবকিছু সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হোক

অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ও চিকিৎসার সুযোগ ছিল বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামের স্লোগান। মুক্তিযুদ্ধেরও লক্ষ্য ছিল এমন এক দেশ গঠনের যেখানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষা পাবে। সন্দেহ নেই মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। সাড়ে ৭ কোটি মানুষের দেশে যখন চারদিকে শুধু নাই নাই এবং নাই; সেই শূন্য অবস্থায়ও আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকার ও গণপরিষদ জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণকে প্রাধান্য দিয়েছে। সংবিধানে অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার পূরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের ওপর থেকে বাংলাদেশের যাত্রা হয়েছিল রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো। বঙ্গবন্ধু শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সঠিক পথে উন্নয়নের সোপানে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অন্তত দুই দশক জাতিকে পেছনের দিকে হাঁটানো হয়েছে কল্পকথার ভূতের মতো। গত এক যুগে সে অপ্রত্যাশিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ এগিয়ে চলাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। দেশ এখন খাদ্যের ক্ষেত্রে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। যে জাতি বিদেশ থেকে আসা পুরনো কাপড়ে দেহ ঢাকত তারা এখন দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। যে দেশ ছিল প্রায় শতভাগ পরনির্ভর সেই বাংলাদেশের ওষুধ এখন রপ্তানি হচ্ছে বিপুলসংখ্যক দেশে। দেশের কোনো মানুষ যাতে গৃহহীন না থাকে সে প্রত্যয়ের কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষের জন্য গৃহের সংস্থান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২ হাজার ৪৭৪টি ফ্ল্যাটসংবলিত পাঁচটি আবাসন প্রকল্প, মাদারীপুরে নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবন উদ্বোধন এবং বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে নির্মিত ভাড়াভিত্তিক ৩০০ ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বস্তিবাসীদের মধ্যে যারা গ্রামে ফিরে যাবেন তাদের জমিসহ ঘর এবং ঋণ প্রদানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের বিশ্বাস দুস্থ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা যাতে শতভাগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তা নশ্চিত করতে সরকার চোখ-কান খোলা রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর